২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:১১:৫৭ অপরাহ্ন


পৃথিবীর আকাশে ‘নতুন চাঁদ’!
তুরজিন তানজিম :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৬-২০২৩
পৃথিবীর আকাশে ‘নতুন চাঁদ’! পৃথিবীর আকাশে ‘নতুন চাঁদ’!


পৃথিবীর নতুন ‘চাঁদ’ এ বার ধরা পড়ল মহাকাশবিজ্ঞানীদের নজরে৷ তবে চাঁদ শুধু কথার কথা৷ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করলেও এটি পৃথিবীর কোনও প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম উপগ্রহ নয়৷ কিন্তু সেও পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে৷ মহাকাশবিজ্ঞানের পরিভাষায় এর নাম কোয়াসি মুন বা অর্ধেক চাঁদ৷

কিন্তু এই কোয়াসি মুন বা অর্ধেক চাঁদ ঠিক কী জিনিস? আদতে এটি স্পেস রক৷ সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আকর্ষণে এই ‘চাঁদ’ সূর্যের পাশাপাশি পৃথিবীকেও প্রদক্ষিণ করে চলে৷ এই কোয়াসি মুনকে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন হাওয়াইয়ে প্যান স্টারস টেলিস্কোপের সাহায্যে৷ সূর্যের চার দিকে প্রদক্ষিণ করতে এই আধা চাঁদা সময় নেয় পৃথিবীর মতোই, ৩৬৫ দিন৷

সদ্য আবিষ্কৃত এই আধা চাঁদের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাত্র ৫০ ফিট বা ১৫ মিটার ব্যাসের এই কোয়াসি মুনকে প্রথম বার চিহ্নিত করা হয় চলতি বছরের মার্চ মাসে৷ হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের আগ্নেয়গিরি হ্যালিকালার উপর থেকে তার দর্শন পান বিজ্ঞানীরা৷ এর পর আর পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রনমিক্যাল ইউনিয়ন-এর মাইনর প্ল্যানেট সেন্টারের তরফে এই কোয়াসি মুনের অস্তিত্বে শিলমোহর দেওয়া হয়৷ প্রসঙ্গত সৌর জগতে নতুন চাঁদ, গ্রহ এবং অন্যান্য জিনিসকে চিহ্নিত করার কাজ করেন এই সংস্থার বিজ্ঞানীরা৷

পৃথিবীর সময়ের সাপেক্ষে ১০০ খ্রিস্টপূর্ব সময় থেকেই পৃথিবীর কসমিক পড়শি৷ বিজ্ঞানীদের অনুমান, নিজের কক্ষপথে এই কোয়াসি মুন ‘2023 FW13’ পৃথিবী ও সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে যাবে ৩৭০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত৷ অর্থাৎ আগামী প্রায় ১৭০০ বছর ধরে সে ঘুরে যাবে৷ জানিয়েছেন মহাকাশচারী অ্যাড্রিয়েন কোফিনেট৷ প্রসঙ্গত মহাকাশচারী ও সাংবাদিক কোফিনেটই প্রথম বার এই অ্যাস্টেরয়েডকে পৃথিবীর কোয়াসি মুন বলে আখ্যা দেন৷