বগুড়ার শেরপুরে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অটোরিকশার আরও তিনজন যাত্রী। 

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার হাজীপুর নামক স্থানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে নূরে জান্নাত লুবা (০৪), শাহবন্দেগী ইউনিয়নের হামছায়াপুর গ্রামের গোলাম কবির (৪০) ও অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারী (৪৫)। এই ঘটনায় আহতরা হলেন- তানজিলা আক্তার (২৪), মোজাম্মেল হক (৫০), আসাদ মিয়া (৪০)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শেরপুরের বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা বগুড়ায় যাচ্ছিল। পথে মহাসড়কের হাজীপুর নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীতগামী অপর একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই নারী নিহত হন। পাশাপাশি সিএনজির চালকসহ অন্যান্য যাত্রীরা গুরুতর আহত হন। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক তাদেরকে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোলাম কবির নামের আরেক জন মারা যান।

শেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ হাইওয়ে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া দুর্ঘটনার পরপরই ঘাতক ট্রাকটি পালিয়ে যাওয়ায় চালক-হেলপারসহ কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে ট্রাকটি চিহ্নিতকরণসহ চালক-হেলপারকে আটকের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।