২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৫:২৩:১১ পূর্বাহ্ন


জ্বীনের বাদশা চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০২-২০২২
জ্বীনের বাদশা চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার জ্বীনের বাদশা চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার


ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা গ্রামের রেনুকা খাতুন নামের এক নারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রতারণার মধ্যমে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে জ্বীনের বাদশা চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১টি নকল স্বর্ণ মূর্তি , ১২ মোবাইল ফোন, ১টি চাকু ও জ্বীনের শব্দ করোনা ১টি ডিভাইস।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম। সেসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন: গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের মিন্টু পদ্দারের ছেলে রায়হান হোসেন (২৫) ও তুহিন হোসেন (২০), একই গ্রামের আজল হকের ছেলে জিয়াউর রহমান (২২) ও শাকপালা গ্রামের নারায়ন দাসের ছেলে মিলন দাস (৩৫)।

পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে রেনুকা খাতুনকে মোবাইলে কল দেয় ওই প্রতারক চক্র। রেনুকার বাড়ির পাশের পুকুরে ৭ কলস স্বর্ণ রাখা আছে, সেটা পেতে হলে জায়নামাজ ক্রয়ের জন্য হাদিয়া স্বরূপ ৫৬০ টাকা দাবী করে। রেনুকা খাতুন নগদ একাউন্টের মাধ্যমে টাকা দেয়। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে হাতিয়ে দেয় ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৬ লাখ টাকা। প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে ওই নারী  ২৫ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেষ্টিগেশন সেল বিকাশ ও নগদ একাউন্টের সূত্র ধরে প্রতারকদের চিহ্নিত করে অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের দুর্গম এলাকা থেকে ওই ৪ জনকে গ্রেফতার করে। 

শনিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

রাজশাহীর সময় /এএইচ