১২ মে ২০২৪, রবিবার, ১১:১৬:৫৮ পূর্বাহ্ন


নীলফামারীতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৭-২০২৩
নীলফামারীতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার ফাইল ফটো


নীলফামারীর ডোমারে আরবী আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩ জুলাই) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের প্রামাণিক পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ উন নবী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
 
ইউপি চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আরবী আক্তারের মরদেহ ঘরের মেঝেতে শোয়ানো রয়েছে। মৃতের স্বামী তুহিন জানায়, আরবী ঘরের ফ্যানের রডে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে বিষয়টি মেয়ের পরিবারকে জানানো হয়।
 
আরবী আক্তার নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের প্রামাণিক পাড়ার তুহিন ইসলামের স্ত্রী ও বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বকঠোটা ভালুকখালি এলাকার মো. দবির উদ্দিনের মেয়ে।
 
মৃতের বাবা দবির উদ্দিনের দাবি, তার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যার কথা বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, সোমবার দুপুরে আরবীর সঙ্গে সবশেষ মোবাইলে কথা হয়েছে। রাত দুইটার পরে ভোগডাবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ফোন দিয়ে জানায়, আরবী গলায় ফাঁস দিয়েছে। সকাল ১১টার দিকে ডোমার থানায় এসে আরবীর মরদেহ থানায় দেখতে পাই।
 
তিনি আরও বলেন, বিয়ের আট বছরেও আরবীর কোনো সন্তান না হওয়ায়; প্রতিনিয়ত তার ওপর নির্যাতন করত তুহিন। এর আগে মারধর করায় আরাবী বাড়িতে চলে এসেছিল।
 
আর নিহতের স্বামী তুহিন ইসলাম বলেন, রাত ১২টার পর আরবী কাঁচা বাজার নিয়ে বাড়িতে আসতে বলে। বাড়িতে এসে ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় অনেক ডাকাডাকির পরও; ভেতর থেকে কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙে আরবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাই।
 
তবে কী কারণে আরবী আত্মহত্যা করেছে; সেটি জানেন না বলে দাবি করেন তুহিন।