১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:১০:৪৭ অপরাহ্ন


ধরা ছোঁয়ার বাইরে চারঘাটের মাদক সিন্ডিকেটের মূলহোতা সাব্বির
পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০২-২০২২
ধরা ছোঁয়ার বাইরে চারঘাটের মাদক সিন্ডিকেটের মূলহোতা সাব্বির ধরা ছোঁয়ার বাইরে চারঘাটের মাদক সিন্ডিকেটের মূলহোতা সাব্বির


ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে চারঘাটে মাদক কারবার সিন্ডিকেটের মুল হোতা পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনির কথিত সোর্স সাব্বির ও তার সহোযোগীরা। 

গত শুক্রবার রাতে চারঘাট থানা পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে মাদক কারবারী ও সেবনকারিসহ মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে কথিত সোর্স ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করতে পারেনি চারঘাট থানা পুলিশ।

গত দুই দিন আগে প্রশাসনের সোর্স সাব্বিরের নেতৃত্বে তার সহোযোগী আতিক ও ইউনুসের প্রকাশ্যে হেরোইন বিক্রির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। 

এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় বিভিন্ন গনমাধ্যমেও। কিন্তুু কথিত সোর্স সাব্বির এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরলেও তাকে গ্রেফতার করছে না চারঘাট থানা পুলিশ বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত পুলিশ ও র‌্যাবের কথিত সোর্স পরিচয়দিয়ে চারঘাট উপজেলা জুড়ে গড়ে তুলেছেন এক শক্ত মাদক সিন্ডিকেটের নেটওয়ার্ক সাব্বির। সে এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে মাদক কারবারসহ বিভিন্ন কুর্কমের মূল হোতা শিবপুর এলাকার এই সাব্বির। প্রশাসনের কথিত সোর্স পরিচয় দিয়ে দাপটের সাথে গড়ে তুলেছেন বিশাল মাদক কারবারের সিন্ডিকেট। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মাদক মামলা। এছাড়া তার মাদক কারবারের অন্যতম সহযোগী আতিক ও ইউনুসের বিরুদ্ধে রয়েছে ৫ থেকে ৭টি মাদক মামলা। এতো কিছুর পরেও তাকে গ্রেফতার না করায় ক্ষুব্ধ ও হতাশ এলাকাবাসীরা।

অভিযোগ উঠেছে, চারঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীরের সাথেও গোপনে সখ্যতা রয়েছে সাব্বিরের। এ কারনেই এতো কিছুর পরেও তাকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ জরুরী বলে প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

উল্লেখিত, গত ২১ তারিখ তাঁতারপুর গ্রামের মাদক সম্্রাট মনোয়ারের দুই ছেলে কামাল ও কফিলকে হেরোইন ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব সদস্যরা। ফলে তাঁতারপুর গ্রামে মাদক বিক্রির স্পট বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু কথিত সোর্স সাব্বির সেখানে ফের মাদক ব্যবসা চালু করে তার ২ সহযোগী আতিক ও ইউনুসকে দিয়ে। 

সাব্বিরের নেতৃত্বে তাঁতারপুর গ্রামে হেরোইন বিক্রি ও সেবনের একটি ভিডিও ব্যপক ভাবে ভাইরাল হয়েছে।

এদিকে, উপজেলার শলুয়া ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডকে মাদক মুক্ত ঘোষনা করেন ইউপি সদস্য সাহাবুর রহমান। ওয়ার্ডবাসী ইউপি সদস্যর নির্দেশে সাব্বিরের ওই মাদক স্পটে বাধা দিলে ইউপি সদস্যকেগুলি করে হত্যার হুমকি দেয় সাব্বির। এ ঘটনার পরেও সাব্বির গ্রেফতার না হওয়ার কারনে হতাশ জনপ্রতিনিধিরাও।

ইউপি সদস্য সাহাবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে ওয়ার্ড মাদক মুক্ত হবে এ ঘোষনা দিয়েছি। এটা আমার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিও। তাদের মাদক বিক্রির বিরুদ্ধে বাধা দেয়া মনে হচ্ছে কাল হয়ে গেছে আমার। ষড়যন্ত্র চলছে আমাকেই মাদক দিয়ে ফাঁসানোর। এতো কিছুর পরও প্রশাসন সাব্বিরকে গ্রেফতার না করায় হতাশ আমরা। তাকে দ্রুত গ্রেফতারে প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ জরুরী বলে মনে করেন তিনি।

এ ব্যাপরে চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রশাসনের কথিত সোর্স সাব্বির ও তার সহযোগীদের শিঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।  তিনি আরও বলেন, সাব্বির আমাদের সোর্স না। সে নাটোর ও রাজশাহীর র‌্যারের কথিত সোর্স। মাদক বিক্রির যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সে বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাজশাহীর সময় /এএইচ