০১ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৬:০৩:১৮ পূর্বাহ্ন


বলছে সমীক্ষা পছন্দের সুরই খুঁজে দেবে মনের মতো বন্ধু
ফারহানা জেরিন এলমা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০২-২০২২
বলছে সমীক্ষা পছন্দের সুরই খুঁজে দেবে মনের মতো বন্ধু ফাইল ফটো


গুপি বাঘার ''তোরা যুদ্ধ করে করবি কী তা বল'' গানটি মনে পড়ে? যে গান থামিয়ে দিয়েছিল শুন্ডি আর হাল্লা রাজার যুদ্ধ? শুধু গুপি বাঘা নয় বিজ্ঞানও বলছে, মানুষকে মানুষের সঙ্গে মেলাতে জুড়ি মেলা ভার গানের। অন্তত বিশ্বব্যাপী এক সমীক্ষায় উঠে এল এমনই তথ্য।

ছ'টি মহাদেশের ৫০টি দেশ জুড়ে সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি মানুষের উপর করা একটি সমীক্ষা বলছে, একই ধরনের সঙ্গীত পছন্দ হলে তা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একসঙ্গে বাঁধতে পারে মানুষকে।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রিত গবেষক ড. ডেভিড গ্রিনবার্গের নেতৃত্বে একটি বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত এই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, এক একটি বিশেষ ধরনের সঙ্গীত এক একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তিচরিত্রের সঙ্গে বেশি খাপ খায়। বা উল্টো করে বললে, একই ধরনের ব্যক্তিত্বের মানুষেরা একই স্বাদের গান শোনেন। এবং এর ফলে গানের স্বাদ অনুযায়ী তাঁদের মধ্যে অনেক সহজে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।

গ্রিনবার্গ ও তার সহকর্মীরা মূলত দুটি পদ্ধতিতে এই গবেষণা চালিয়েছেন। প্রথম পদ্ধতিতে বিভিন্ন দেশের মানুষকে ২৩টি বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীত শোনানো হয়েছে। এই ক্ষেত্রে মূলত ভৌগোলিক বিভাজনের ভিত্তিতে সঙ্গীতের প্রতি মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন, তা দেখা হয়েছে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে মূলত ১৬ ধরনের পশ্চিমী সঙ্গীত শোনানো হয়েছে শ্রোতাদের। এই ক্ষেত্রে দেখা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীত মানুষের অনুভূতির উপর কেমন প্রভাব ফেলে। গ্রিনবার্গ জানান মানুষের সঙ্গীতের পছন্দ সবসময় এক থাকে না। একাধিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এর পরিবর্তন হয়। তবে এই পরিবর্তনের মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু সম্পর্ক রয়েছে। যেগুলি নিয়ে আরও বিশদ গবেষণার প্রয়োজন। গ্রিনবার্গের আশা ভবিষ্যতে এই সম্পর্কগুলি আরও বিস্তারিত ভাবে জানা গেলে তা বিভিন্ন স্থানের ও স্তরের মানুষের মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করবে।

রাজশাহীর সময় /এএইচ