২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৮:৫৬:২৫ অপরাহ্ন


হৃতিককে আক্রমণ কঙ্গনার
তামান্না হাবিব নিশু :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০২-২০২২
হৃতিককে আক্রমণ কঙ্গনার হৃতিককে আক্রমণ করে বক্তব্য কঙ্গনার


হৃতিক রোশন আর কঙ্গনা রানাওয়াতের ঠাণ্ডা যুদ্ধ কারুর অজানা নয়। জনসমক্ষে হৃতিকের বিরুদ্ধে প্রেমে ধোঁকা দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন কঙ্গনা, যদিও কঙ্গনার দাবীকে কোনওদিন স্বীকৃতি দেননি হৃতিক। ফের একবার কঙ্গনার নিশানায় হৃতিক। রিয়ালিটি শো ‘লক আপ’-এর প্রিমিয়ার নাইটেই হৃতিকের দিকে আঙুল তুললেন এই বিতর্কিত নায়িকা। 

অনুষ্ঠানের শুরুর দিকেই কঙ্গনা বলেন, মানুষজন ভয় পাচ্ছে তাঁর এই রিয়ালিটি শো-কে নিয়ে। হয়ত তাঁদের মুখোশ খুলে যাওয়ার ভয় আছে। তিনি আরও বলেন, যাঁরা ৫ বছর ধরে তাঁকে এড়িয়ে চলেছে, তাঁরা আমচকাই কথাবার্তা শুরু করেছে। এরপরই কঙ্গনা এমন বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন যা কারুর নজর এড়ায়নি। তিনি বলেন, ‘লোকজন পাঁচটা আঙুল জুড়ে হাত জোড় করছে… আর ছয় আঙুলওয়ালাদের গলা শুকিয়ে যাচ্ছে’। 

ছ'টা আঙুল শুনেই সবার মনেই যে ছবিটা ভেসে উঠেছে তা নতুন করে বলে দিতে হবে না। 'ছয় আঙুলওয়ালা' লোক বলতে কার দিকে ইঙ্গিত করলেন কঙ্গনা? সেটা কোনও সিক্রেট নয়। নাম না করেই এদিন হৃতিককে আক্রমণ করেন অভিনেত্রী। 

কঙ্গনার ‘লক আপ’-এর অংশ হচ্ছেন ১২জন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। ববিতা ফোগাত, পুনম পাণ্ডে, নিশা আগারওয়াল, মুনাওয়ার ফারুকীরা অংশ হচ্ছেন এই রিয়ালিটি শো-এর। আগামী ১০ সপ্তাহ ধরে জেলবন্দি থাকবেন এই প্রতিযোগিরা। দৈনন্দিন চাহিদা পূরণের জন্য লড়াই করতে হবে তাঁদের। 

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে কাইট ছবিতে অভিনয় করেন হৃত্বিক-কঙ্গনা। এরপর ২০১৩ সালে কৃশ-থ্রি ছবিতে অভিনয়ের সময়ই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দু-জনের। ২০১৪ সালে করণ জোহরের পার্টিতে অন্তরঙ্গ অবস্থায় কঙ্গনা-হৃত্বিকের একটি ছবিও ভাইরাল হয়। কঙ্গনা বারবার হৃত্বিকের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক থাকার কথা দাবি করে এলেও সেটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন হৃত্বিক রোশন। হৃত্বিকের কথায় তাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র প্রফেশনাল সম্পর্ক ছিল।

২০১৬ সালে এক সাক্ষাত্কারে হৃত্বিককে ‘সিলি এক্স’ বলে খোঁচা দেন কঙ্গনা। এরপরই ই-মেল চালাচালির ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন হৃত্বিক। রাকেশ রোশন পুত্রের অভিযোগ, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে কঙ্গনার ই-মেল অ্যাকাউন্ট থেকে হৃত্বিককে ১৪৩৯টি মেল পাঠানো হয়েছিল। অভিনেতার কথায় এই সমস্ত ই-মেল তাঁর উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে। আপতত এই মামলা মহারাষ্ট্রের ক্রাইম ইন্টালিজেন্স ইউনিটের আওতায় বিচারাধীন।

রাজশাহীর সময় / এফ কে