১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৪:৪২:৩৯ অপরাহ্ন


রামেকে মাইক্রোবাসের দালালরা মারপিট করলো অটো-চালককে
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৩-২০২২
রামেকে মাইক্রোবাসের দালালরা মারপিট করলো অটো-চালককে রামেকে মাইক্রোবাসের দালালরা মারপিট করলো অটো-চালককে


রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল অভ্যান্তরে মো. রিগান (৩৫) নামের এক অটো-চালকে মারপিট করেছে মাইক্রোবাসের দালালরা।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে রামেক জরুরী বিভাগের সামনে এই মারপিটের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগরীর রাজপাড়া থানায় ভুক্তভোগী রিগান বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

রিগান জানায়, রামেক হাসপাতালে জরুরী বিভাগের সামনে থেকে বিভিন্ন রোগীদের অটোতে ভাড়া নিয়ে যায় সে। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত মাইক্রোবাসের দালালরা রোগীদের ভাড়া বহন কাজ থেকে বিরত থাকতে হুমকি দিয়ে আসছিলো।

কিন্তু ভাড়া না মারলে সংসার চলবে কি ভাবে? তাই রিগান দালাদের অনুরোধ করে বলে ২/১টি রোগীর ভাড়া মারবো। এর বেশি ভাড়া মারবো না। রিগানের এমন বক্তব্যে ক্ষিপ্ত হয়ে মাইক্রোবাসের দালাল আব্দুল্লাহ, সুজন, জর্জ ও তাদের সহযোগীরা তার উপর অতর্কীত হামলা চালায়। এ সময় দালালরা অটো চালক রিগানকে এলোপাথাড়ী ভাবে কিলঘুষি মেরে ছিলা ফোলা জখম করে। এ নিয়ে অটো-চালকদের মধ্যে ব্যপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

তারা জানায়, রামেক হাসপাতাল অভ্যান্তরে প্রায় শতাধিক দালাল অবস্থান করে। তাদের কাজ হলো বাইরে থেকে আসা রোগী বহনকারী মাইক্রোবাস রামেকে রোগী নিয়ে আসলেই ওই চালকদের কাছ থেকে জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করে থাকে এই চক্রের সদস্যরা। 

এছাড়াও দালাল সিন্ডিকেটের বাইরে কোন অটো চালক বা মাইক্রোবাসে রোগী তুললেই জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করে এই চক্রের সদস্যরা। এছাড়াও রামেক থেকে ছুটি পাওয়া রোগী বা মৃত রোগীদের স্বজনদের ধরে দ্বিগুন টাকায় ভাড়া মেটায় দালালরা। পরে তাদের  নিজেদের সিন্ডিকেটের মাইক্রোবাসে তুলে দেয়। আর অতিরিক্ত ভাড়ার টাকাটা তারা নিজেরা রেখে দেয়। শুধু তাই নয়, রাজশাহীর বাইরে থেকে আসা-যাওয়া রোগীদের জোরপূর্বক আটকায় এই দালারচক্রের সদস্যরা। তাদের পছন্দের গাড়িতে না গেলে যেতে দেয়া হবে না বলেও হুমকি প্রদান করে তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অটো চালকরা জানায়, রাজশাহীর বাইরে থেকে আসা গরিব রোগীরা ছুটি পেলে দালালদের ভয়ে রিক্সায় যোগে হাসপাতালের বাইরে যায়। পরে কৌশলে অল্প টাকায় মাইক্রোবাস ঠিক করে। কিন্তু এই বিষয় গুলি দালালদের দৃষ্টি গোচর হলে ওই গাড়ি আটকিয়ে সমিতির নাম করে জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করে থাকে দালাল চক্রের ভয়ংকর এই জোটের সদস্যরা। তবে ভুক্তভোগীদের মুখে আব্দুল্লার নামই বেশি বলতে শোনা যায়। তারা জোট বদ্ধ হওয়ায় তাদের ভয়ে কেই মুখ খুলতে চায়না।

তাদের এই ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড দির্ঘদিন যাবত চললেও প্রশাসনিক ভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। এমই অভিযোগ অটো-চালকদের।

জানতে চাইলে রাজপাড়া থানার ইন্সপেক্টর (ওসি তদন্ত) মো. মাইদুল ইসলাম জানান,  রামেক অভ্যান্তরে দালালদের অপরাধমূলক কর্মকান্ড ছাড় দেয়া হবে না। অটো-চালক রিগানকে মারপিটের ঘটনাটি তদন্ত করে দ্রুত প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি তদন্ত।

রাজশাহীর সময় /এএইচ