০৫ মে ২০২৪, রবিবার, ০৮:৪২:২৫ অপরাহ্ন


কোলেস্টেরল কমবে ৭ দিনে যদি এভাবে চুমুক দেন গ্রিন টি'তে
ফারহানা জেরিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৮-২০২৩
কোলেস্টেরল কমবে ৭ দিনে যদি এভাবে চুমুক দেন গ্রিন টি'তে ফাইল ফটো


খারাপ কোলেস্টেরল বাড়লেই বিপদ। এলডিএল কোলেস্টেরল নামে পরিচিত হল এক ধরনের কোলেস্টেরল, যার মাত্রা বাড়লে জমতে থাকতে রক্তনালির দেওয়ালে। এর জেরে দেহে রক্ত চলাচলে বাধা তৈরি হয়। সমস্যা এখানেই শেষ নয়। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে হার্টে‌ ব্লকেজ তৈরি হয় এবং এখান থেকে হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়।

খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে আপনার মধ্যে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও পেরিফেরাল আর্টা‌রি ডিজিজের ঝুঁকিও বাড়ে।

এলডিএল কোলেস্টেরলের চোখ রাঙানি ব্যাপক ভাবে শরীরের ক্ষতি করে। হৃদরোগের পাশাপাশি দেহে একাধিক সমস্যা ডেকে আনে। খারাপ কোলেস্টেরল জমতে থাকে রক্তে। এখান থেকে রক্ত জমাট বাধা বা রক্ত প্রবাহে বাধা তৈরি হতে পারে। যার জেরেই মূলত হার্ট অ্যাটাক দেখা দেয়। তবে, সুষম আহার ও ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এতেই আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা বশে থাকবে। এছাড়া সকালবেলা এই ৪ পানীয়তে চুমুক দিলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরলের মাত্রা।

গ্রিন টি: গ্রিন টিয়ের মধ্যে ক্যাটেচিন রয়েছে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। তবে, শুধু গ্রিন টি খেলে চলবে না। গ্রিন টিয়ের মধ্যে মেশাতে হবে ১ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ মধু এবং ১ চিমটে দারুচিনির গুঁড়ো। এভাবে গ্রিন টি খেলে তবেই উপকার পাবেন।

হলুদ-দুধ: হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামের যৌগ রয়েছে, যা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গরুর দুধের বদলে আমন্ড বা ওটসের দুধ বেছে নিন। এতে ১/২ চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১/৪ চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে গরম করুন। স্বাদের জন্য এতে মধু মিশিয়ে পান করুন।

বিটরুট ও গাজরের রস: গাজর ও বিটরুট দুটোই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। পাশাপাশি এতে রয়েছে ফাইবার। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ১ কাপ জল, বিটরুট ও গাজরের সঙ্গে এক টুকরো আদা নিয়ে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন। সকালে খালি পেটে এই রস পান করুন। এটি দেহ থেকে সমস্ত দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।