১৯ মে ২০২৪, রবিবার, ১১:১১:০০ পূর্বাহ্ন


শ্বশুরবাড়ির টয়লেটের ট্যাংকি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৮-২০২৩
শ্বশুরবাড়ির টয়লেটের ট্যাংকি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার


রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে নিখোঁজের ১৪ দিন পর শ্বশুরবাড়ির টয়লেটের ট্যাংকির ভেতর থেকে মিনু বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা জানাজানির পর থেকে পলাতক রয়েছেন স্বামী উজ্জ্বল শেখসহ (৩২) শ্বশুরবাড়ির লোকজন। হত্যার কারণ উৎঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মিনুর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একমাত্র মেয়ে মিনুকে কাছাকাছি রাখতে ১০ বছর আগে আপন ভাতিজা উজ্জ্বলের সঙ্গে বিয়ে দেন তেতুলিয়া গ্রামের ছাত্তার শেখ। তবে এ দম্পতির কোনো সন্তান না হওয়ায় তিন বছর আগে আরেকটি বিয়ে করেন উজ্জ্বল। এ নিয়ে উজ্জ্বল ও মিনুর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। মিনুকে মারধরও করতো স্বামী। গত ৫ আগস্ট সকাল থেকে নিখোঁজ হন মিনু। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে তার স্বামী উজ্জ্বল, তার বাবা কুদ্দুস শেখ ও মা জহুরা বেগমের বিরুদ্ধে বালিয়াকান্দি থানায় অভিযোগ করেন মিনুর মা সোনাই বেগম। এদিকে, মিনু অন্য কারো সঙ্গে পালিয়ে গেছে বলে অপবাদ দিয়ে আসছিলেন উজ্জ্বল। পরে শনিবার সকালে উজ্জ্বলের বাড়ির টয়লেট থেকে গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ টয়লেটের রিং স্লাব তুলে ট্যাংকির ভেতর থেকে মিনুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

মিনুর বাবা ছাত্তার শেখ বলেন, ‘আমার একটাই মেয়ে। মেয়েকে কাছে রাখার জন্য বড় আশা নিয়ে ভাতিজা উজ্জ্বলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু উজ্জ্বল আমার মেয়েকে মেরে ফেললো। আমি এর বিচার চাই।’

রাজবাড়ীর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা জানান, শ্বশুরবাড়ির টয়লেটের ট্যাংকির ভেতর থেকে মিনু বেগমের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার ডিএনএও পরীক্ষা করা হবে। মিনুর স্বামী উজ্জ্বল পলাতক রয়েছেন। এ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও এরসঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।