১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ১১:৫০:০৫ অপরাহ্ন


কনস্টেবল নিয়োগে ঘুস বাণিজ্য, সাবেক ৩ পুলিশ সদস্য কারাগারে
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৯-২০২৩
কনস্টেবল নিয়োগে ঘুস বাণিজ্য, সাবেক ৩ পুলিশ সদস্য কারাগারে কনস্টেবল নিয়োগে ঘুস বাণিজ্য, সাবেক ৩ পুলিশ সদস্য কারাগারে


মাদারীপুরে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ বাণিজ্যে দুদকের করা মামলায় ৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন শুনানি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন, কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম, সাবেক টিএসআই গোলাম রহমান, পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল সহকারী পিয়াস বালা ও মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের মৃত সফিউদ্দিন ফরাজীর ছেলে হায়দার ফরাজী।

এছাড়া এই মামলায় অপর দুই আসামি মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার ও সাবেক কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন আদালতে হাজির হননি।

মাদারীপুর আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং জানান, ২০১৯ সালের ২৮ মে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হেড কোয়াটার্স। পরে অসংখ্য নারী-পুরুষ আবেদন করলে এই বছরের ২৬ জুন ৩১ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারীকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

তবে নিয়োগের আগে ২০১৯ সালের ২৪ জুন থেকে ২৬ জুন কয়েক ধাপে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আসামিদের কাছ থেকে গচ্ছিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ হেড কোয়ার্টাসের একটি বিশেষ দল। পরে অনুসন্ধানে পুলিশ হেড কোয়াটার্স জানতে পারে উদ্ধার করা টাকা বিভিন্ন চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের সুপারিশে ২০২৩ সালের (চলতি বছরের) ৫ জুলাই দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম।

ওই মামলায় জাহিদুল ইসলাম, গোলাম রহমান, পিয়াস বালা ও হায়দার ফরাজী উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। উচ্চ আদালতের জামিন শেষ হলে মঙ্গলবার মাদারীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে উভয়পক্ষের শুনানি গ্রহণ করেন আদালত। শুনানি শেষে আসামি ৪ জনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

দুদকের কাজ শেষে অভিযোগপত্র পেলে বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান এই আইনজীবী।

মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার বর্তমানে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত আছেন। অপরদিকে কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন, জাহিদুল ইসলাম, গোলাম রহমান বরখাস্ত। এছাড়া পিয়াস বালা চাকরিচ্যুত।

পুলিশের নিয়োগ কমিটির তিন সদস্যের মধ্যে সভাপতি ও প্রধান ছিলেন মাদারীপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার। এছাড়া বাকি সদস্যরা হলেন, মাদারীপুরের তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল ইসলাম ও গোপালগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।