২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০১:৫৮:৫০ অপরাহ্ন


গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৩-২০২২
গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ


ঠাকুরগাঁওয়ে গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শিশু সন্তানের সামনে এক নারীকে (২৭) দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের মধুপুর গুদামপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধুপুর গ্রামের পুঞ্জিকা সাধক ও তান্ত্রিক প্রকাশ (ঝোল) ওই নারীকে গুপ্তধনের সন্ধান দেয়ার লোভ দেখিয়ে শুক্রবার বাড়ি থেকে ডেকে এক মন্দিরে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সুকৌশলে ওই নারীকে মিশন রেলগেট কোয়ার্টারে নিয়ে ওইদিন গভীর রাতে সন্তানকে পাশে রেখে তান্ত্রিক ঝোল ধর্ষণ করে।

পরে তার বন্ধু রুহিয়া মিশন রেল গেটম্যান শামিম (৩০), এনামুল হক (৩৭), মেজর (২৮) ও উজ্জ্বল দাস (৩৫) নামে চার যুবককে ডেকে আনলে তারাও ওই নারীকে ধর্ষণ করে।

পালাক্রমে ধর্ষণের জেরে ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনাটি আত্মীয়-স্বজনকে জানানোর পর শনিবার সকালে রুহিয়া থানায় মামলা করতে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী ও কিছু প্রভাবশালী মামলা না করার পরামর্শ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

প্রধান অভিযুক্ত তান্ত্রিক ঝোল রুহিয়া মধুপুর এলাকার বাসিন্দা।

সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য (সাবেক) বিনা রানী জানান, এই নারী খুবই গরিব। একই এলাকার সাধক ঝোল তাকে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে মিশন রেল গেটে নিয়ে যায়। পরে গেটম্যানসহ চার যুবক তাকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে গেলে বর্তমান ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী আমাদের বাধা দেন এবং সমাধানের জন্য দুই দিন সময় নেন।

ইউপি সদস্য ইউসুফ আলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

রুহিয়া ঘনিবিষ্ণুপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম উদ্দিন বলেন, ইউসুফ মেম্বার ওই নারীকে মামলা করতে নিষেধ করেন। মুখ বন্ধ রাখার জন্য কিছু টাকা-পয়সার প্রস্তাব দেন এবং তার ভাইয়ের বাসায় কয়েকদিন লুকিয়ে থাকার জন্য বলেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু জানান, একটি মহিলার হারিয়ে যাওয়া, আবার পরের দিন সকালে খুঁজে পাওয়ার ঘটনা শুনেছি। কিন্তু ধর্ষণের বিষয়টি জানি না।

ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোছা. সুলতানা রাজিয়া বলেন, শিশু সন্তানের সামনে নারীকে ধর্ষণের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। খোঁজ নিয়ে পুলিশ পাঠাচ্ছি। স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য ওই নারীর পরিবারকে চাপ দেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় কোনো সমাধান হয় না। যারা এ জঘন্য কাজ করেছে বা যারা সমাধানের জন্য চাপ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাজশাহীর সময় / এম আর