০৫ মে ২০২৪, রবিবার, ০৩:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন


প্রাইভেট পড়ানোর নামে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৯-২০২৩
প্রাইভেট পড়ানোর নামে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত প্রাইভেট পড়ানোর নামে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত


বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়ায় ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক সৈয়দ ইনওয়ার হোসাইন বাইজিদ মিঞার (৪২) বিরুদ্ধে প্রাইভেট পড়ানোর নামে ছাত্রীকে (১৪) শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে বুধবার সকালে তালোড়া আলতাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক ফোন বন্ধ রেখে অন্যত্র যাওয়ায় এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অভিযোগে জানা গেছে, তালোড়া আলতাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক সৈয়দ ইনওয়ার হোসাইন বাইজিদ মিয়া তালোড়া রেলঘুমটি এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ান। তিনি নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সোমবার সকাল ৭টার দিকে সবার আগে আসতে বলেন। নির্দেশমতো ওই ছাত্রী যথাসময়ে পড়তে আসে। কেউ না থাকার সুযোগে শিক্ষক ওই ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। ছাত্রী ঘর থেকে দৌড়ে বের হয়ে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের অবহিত করে। এরপর ছাত্রীকে নিয়ে তার মা শিক্ষকের কাছে এসে প্রতিবাদ জানান ও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে এলাকায় প্রচার হয়।

বুধবার সকালে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামছুল আলম টপির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক সামছুল আলম টুটুলের সঞ্চালনায় জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সব সদস্যের সম্মতিতে শিক্ষক বাইজিদ মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার মণ্ডলকে আহবায়ক ও অভিভাবক সদস্য আনোয়ার হোসেন, এমকেএইচ তরফদার, শিক্ষক প্রতিনিধি একেএম আব্দুল মাহবুব ও শিক্ষিকা আলহামরা শাহিনা পারভীনকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামছুল আলম টপি বলেন, ছাত্রীর সঙ্গে এহেন আচরণ খুবই দুঃখজনক। শ্লীলতাহানির শিকার ছাত্রীর অভিভাবকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি সভা আহবান করা হয়। সবার সিদ্ধান্ত অনুসারে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্টে সত্যতা পেলে ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক বাইজিদ মিয়ার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।