মায়েদের হাত ধরে ফুটবল ভবনের পাশের টার্ফে এসে হাজির ছোট ছোট ছেলেরা। চোখে মুখে আগামী দিনের ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ফুটবলের পথে পা রাখতে চায়। ৮ থেকে ১০ এবং ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সের ফুটবলাররা ফুটবলের কোচিং ক্যাম্পে নাম লিখিয়েছেন। অনাবাসিক ক্যাম্প।
বৃহস্পতিবার বিকালে এবং শুক্র ও শনিবার সকালে অনুশীলন হবে। ছোটরা বাফুফের কোচদের কাছে দেখে রপ্ত করবেন কীভাবে ফুটবল খেলতে হয়। ফুটবলের বেসিক নিয়মগুলো শেখাতে কোচরা কাজ করবেন। ছোট ছোট বাচ্চারা ফুটবল পায়ে দৌড়াচ্ছেন, আর তা দেখে খুশি অভিভাবকরা।
ফুটবল একাডেমির দূত হিসাবে কাজ করছেন নাট্যাভিনেতা জাহিদ হাসান। অভিভাবকদের উদ্দেশে জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে একটা কথা বলব আমাদের প্রায় অভিভাবকরা লেখাপড়ায় ভালো করার জন্য বাচ্চাদের চাপ দেন। ক্লাসে ফার্স্ট হতে হবে। মেসি, রোনালদোরা ক্লাসে ফার্স্ট ছিল না। তারা বিশ্বের সেরা। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানও ক্লাসে ফার্স্ট ছিল না। আর আমার কথা যদি বলি আমিও ক্লাসে ফার্স্ট হইনি কিন্তু জাতীয় পর্যায়ে নানা পুরস্কার পেয়েছি। আমি মন খুলে দোয়া করি আজ যারা এখানে এসেছে তারা সবাই একদিন জাতীয় দলে খেলবে।’ মায়েরা মনোযোগী হয়ে শুনলেন জাহিদ হাসানের কথা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাফুফের ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। তিনি বলেন, ‘এখান থেকে ভালো মেধাবী খেলোয়াড় থাকলে আমাদের এলিট একাডেমিতে ট্রায়ালের সুযোগ পাবে।’