রাজশাহী মহানগরীতে প্রতিপক্ষের হামলায় মোসাঃ রহিমা বেগমকে (৪৫) নামের নারী আহত হয়েছেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় মহানগরীতে হেতেমখাঁ লিচু বাগান এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত রহিমা বেগম, তিনি মহানগরীর হেতেমখাঁ লিচু বাগান এলাকার মোঃ আলমের স্ত্রী।
এ ঘটনায় আহতের বড় বোন রেহেনা সুলতানা ৩জনকে অভিযুক্ত করে মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন: একই এলাকার মোঃ হেনা (৫৫), মোঃ জিত (২২) ও মোসাঃ কহিনুর (৪৫)।
অভিযোগের বরাত দিয়ে জানাযায়, শনিবার সকালে সীমানার প্রাচীর সংস্কার কাজ চলাকালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী রেহেনা সুলতানাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করেন। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে রেহেনা সুলতানার বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে তার বোন মোসাঃ রহিমা বেগমকে (৪৫) অভিযুক্তরা এলোপাথাড়ীভাবে কিল, ঘুষি ও মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে। মাথার মাঝখানে ইটের আঘাতে রহিমা বেগমের মাথা কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় বাদীর ছেলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও এলোপাথাড়ীভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুষি মেরে জখম করে। তাদের চিৎকার চেচামেচি শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সোহরাওয়ার্দী বলেন, প্রতিপক্ষের হামলায় রহিমা বেগম নামের এক নারী আহতের ঘটনায় তার বড় বোন রেহেনা সুলতানা বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। মামলা প্রক্রিয়াধিন বলেও জানান ওসি।