০৩ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন


নিউইয়র্কে জুমার নামাজ পড়ালেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৯-২০২৩
নিউইয়র্কে জুমার নামাজ পড়ালেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে জুমার নামাজ পড়ালেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী


যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়িয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইবরাহিম। শুক্রবার নিউইয়র্ক সিটির প্রথম মসজিদ ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে (আইসিসিএনওয়াই) তিনি নামাজ পড়ান। একজন বিদেশি নেতা হিসেবে মসজিদটিতে এবারই প্রথম তিনি জুমার নামাজে ইমামতি করেন। এ সময় জুমার আগে কোরআন তিলাওয়াত করেন এবং আজান দেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান কারি শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ।

মালয় মেইল সূত্রে জানা গেছে, জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে অংশ নিতে আনোয়ার ইবরাহিম নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। শুক্রবার জুমার নামাজে অংশ নিতে তিনি নিউইয়র্ক সিটির ওই মসজিদে যান। সেখানে তিনি জুমার আগে বক্তব্য প্রদান করেন এবং নামাজের ইমামতি করেন। নামাজের পর এক ব্যক্তি তার হাতে কালেমা শাহাদাত পাঠ করে ইসলাম গ্রহণ করেন।

জুমার আগে আনোয়ার ইবরাহিম মালয়েশিয়ায় বহুজাতিক ও বহুধর্মীয় সমাজ পরিচালনার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। উপস্থিত প্রায় হাজারসংখ্যক মুসল্লির উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা সব সময় পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহনশীলতা প্রচার করার চেষ্টা করি। আমরা অন্যদের সংস্কৃতি ও ধর্ম বোঝার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছি। কেননা সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাসের জন্য এসব উপকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুসলিম ঐক্য ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ার গুরুত্ব তুলে ধরে আনোয়ার ইবরাহিম বলেন, একজন মুসলিমের জীবনের সব ক্ষেত্রে ইসলামী অনুশাসন পালন করা কর্তব্য। যেন অমুসলিমরা আমাদের দেখেই ইসলাম সম্পর্কে আগ্রহী হয়। আমাদের শুধুমাত্র ধর্মীয় জ্ঞান লাভ করে ক্ষান্ত হওয়া যাবে না; বরং আধুনিক প্রযুক্তি খাতেও ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। তা ছাড়া মুসলিম ঐক্য সুদৃঢ় করার পাশাপাশি সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় তিনি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ইসলামোফোবিয়া প্রতিরোধে ‘মালয়েশিয়া মাদানি’ ধারণার ব্যাখ্যা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, যখন বিভিন্ন দেশে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটছিল, তখন মালয়েশিয়া পবিত্র কোরআনের ১০ লাখ কপি ছাপিয়েছে। এরপর আমরা ১৫ হাজার কপি সুইডেনে পাঠিয়েছি, যেন তারা কোরআন দেখে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে এবং অজ্ঞতার কারণে সংঘাত না করে।