২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০১:৩৫:২৮ পূর্বাহ্ন


উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৩-২০২২
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন ফাইল ফটো


উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এপিবিএন ও রোহিঙ্গাদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বেসরকারি সংস্থা ‘মুক্তি কক্সবাজার’র একটি লার্নিং সেন্টার ও একাধিক রোহিঙ্গা বসতি পুড়ে গেছে।

শুক্রবার (১১ মার্চ) বিকেলে কুতুপালং ক্যাম্প-৪–এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছুদ্দৌজা।

ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা জানান, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ক্যাম্প-৪-এর এফ-ব্লকের একটি রোহিঙ্গা বসতির রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত। এরপর আগুন আশপাশের বসতিতে ছড়িয়ে পড়ে। এপিবিএনসহ রোহিঙ্গাদের চেষ্টায় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

মো. সামছুদ্দৌজা বলেন, আগুনে সাতটি রোহিঙ্গা বসতি ও বেসরকারি সংস্থার একটি লার্নিং সেন্টার পুড়ে গেছে। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

রোহিঙ্গা মাঝিরা জানায়, চলতি বছরের গত দুই মাসে আশ্রয়শিবিরগুলোতে সাত দফা অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, যা আগে কখনো ঘটেনি। হঠাৎ করে আগুন লাগার পেছনে অন্য কোনও কারণ বা নাশকতার বিষয় আছে কি না, অনুসন্ধান করা জরুরি।

রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং এলাকার মেম্বার প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন বলেন, অধিকাংশ রোহিঙ্গা বসতি বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে বানানো এবং একটির সঙ্গে আরেকটি লাগানো। একটি শেডে ৪০ থেকে ৫০টি পরিবার থাকে। কোনো একটি ঘরে আগুন লাগলে অন্য ঘরগুলো রক্ষার উপায় নেই। এ ছাড়া শিবিরগুলোতে ফায়ার সার্ভিস বাহিনীর কোনো স্টেশন নেই। ২০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে উখিয়া ও টেকনাফ সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছাতে পৌঁছাতে সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায়। 

রাজশাহীর সময় /এএইচ