০৮ মে ২০২৪, বুধবার, ০৯:৩৩:৩১ অপরাহ্ন


ফটিকছড়িতে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ; গ্রেফতার ধর্ষক
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-১০-২০২৩
ফটিকছড়িতে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ; গ্রেফতার ধর্ষক ফটিকছড়িতে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ; গ্রেফতার ধর্ষক


চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ মামলা রুজু হওয়ার ১ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষক মোঃ শরিফুল ইসলামকে (৪৭) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানাধীন নাজিরহাট পৌরসভার পূর্ব ফরহাদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।  গ্রেফতার ধর্ষক আসামি মোঃ শফিকুল ইসলাম (৪৭), সে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানাধীন নাজিরহাট পৌরসভা পূর্ব ফরহাদাবাদ এলাকার মোঃ আনছার আলীর ছেলে। তবে তার পূর্বের ঠিকানা; খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা থানার হাফছড়ি গ্রামে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

র‌্যাব জানায়, বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় ধর্ষিত শিশু (৭) তাদের বসত ঘরের সামনে খেলা করছিল। এসময় শফিকুল ইসলাম চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে তার টেইলার্সের ঘরে নিয়ে জবরদস্তি করতে থাকে। জবরদস্তির একপর্যায়ে ভিকটিমের আত্মচিৎকার শুনে টিউবওয়েলের পাশে থাকা তার বড় বোন দৌড়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকে। নাম ধরে ডাকাডাকি করলে শফিকুল ইসলাম তার টেইলার্স ঘরের দরজা খুলে দিলে দৌড়ে এসে বোনকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করতে থাকে। ওই সময় শিশুটির বড় বোন অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখতে পায় তাকে। এরপর শিশুটির মা এবং পরিবারের সদস্যরা কান্নাকাটির কারণ জিজ্ঞাস করলে সে জানায় শফিকুল ইসলাম তাকে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে তাকে কোলের উপরে বসিয়ে ধর্ষণ করে। 

  এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ১০/১৩৬ তাং ১৯ অক্টোবর ২০২৩; ধারা-৯(৪) (খ) নারী ও শিশু নির্যাতন ও দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)। 

মামলার পর র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে, বর্ণিত ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি শফিকুল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানাধীন নাজিরহাট পৌরসভার পূর্ব ফরহাদাবাদ এলাকায় আত্মগোপনে আছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের বুধবার দিন গতরাত ১টায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক মোঃ শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণ মামলায় আসামি বলে স্বীকার করে। 

গ্রেফতারকৃত আসামি বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে ফটিকছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।