১৯ মে ২০২৪, রবিবার, ০৭:২৬:৫৩ পূর্বাহ্ন


পুঠিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের সাড়ে ৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১০-২০২৩
পুঠিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের সাড়ে ৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সংগৃহিত ছবি


মুজিববর্ষ উপলক্ষে নির্মিত রাজশাহীর পুঠিয়ার বারইপাড়া তালুকদার গ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্পে হোজা নদীর ধারে আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ না করেই ৯ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৭ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার তালুকদার গ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্পে টেন্ডার নং-৫১.০১.০০০০.০২৪.১৪.০১২.১৯ (অংশ-১) ১৬১১, তারিখ ১৫ ডিসেম্বার ২০২১ সালের ২০২১-২২ অর্থ বছরে এইচবিবি ১ম পর্যায় প্রজেক্টে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে নির্মিত তালুকদার গ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ আশে-পাশে গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য পূর্ব বারইপাড়া তালুকদার গ্রাম পাকারাস্তা সংলগ্ন নজিরের বাড়ি হতে পূর্ব বারইপাড়া বাইতুন নুর জামে মসজিদ পর্যন্ত ১ হাজার মিটার রাস্তায় এইচবিবি করণ প্রকল্পের টেন্ডার হয়।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি ঘর ও রাস্তা হোজা নদী ভাংঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য ১৮০ মিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণে টেন্ডার প্রাপ্ত হয়ে রাজশাহীর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাহিল এন্টার প্রাইজ টেন্ডার প্রাপ্ত হয়ে আইটেম কোর্ড ৯ নম্বরে ডেসক্রিপশন অফ আইটেম আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল ১৮০ মিটার (৬০০ ফিট) ইউনিট রেট ৫ হাজার ২ শত ৯২ টাকা। মোট টাকা ৯ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৭ টাকা।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী আনোয়ার হোসেন, মর্জিনা বেগম, শাপলা বেগম, মনোয়ারা বেগম জানান, এখানে এসবিবি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু কোন আসিসি রিটেইনিং ওয়াল তৈরি করা হয়নি।

ইতোমধ্যেই পুঠিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের কোষাধক্ষ্য তথ্য প্রাপ্তির জন্য আবেদন করেন সেখানে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ সাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করেছেন।

প্রথম পর্যায়ের কাজে রিটেইনিং ওয়াল নির্মানে কোন বরাদ্দ নাই। তবে ২য় পর্যায়ে ২১০ মিটার রিটেইনিং ওয়াল বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু তিনি কৌসলে তথ্য গোপন করে পুরো তথ্য প্রদান করেননি।

বারইপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাদ্রাসা সুপার মাসুদুর রহমান জানান, রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করেনি। এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে পারবো না।

পুঠিয়ার বারইপাড়া সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার মিলন রহমান জানান, তালুকদার গ্রামে কোথাও আরসিসি রিটেইনিং ওয়ালের কাজ করা হয়নি। তবে ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে হোজা নদীর ধারে সামান্য রিটেইনিং ওয়াল আমি তৈরি করে দিয়েছি।

পুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ খাঁন ঝন্টু জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পে কোন রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে বলে আমার জানা নাই।
আমি সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান আমাদের দূরে রেখে সব কাজ করা হয়েছে।

মেসার্স সাহিল এন্টার প্রাইজের মালিক বিপ্লব জানান, আপনি সিডিউল তুলে আমার সাথে দেখা করেন। তারপর সেই বিষয়ে কথা বলবো। তাছাড়া কোন কথা হবেনা।

পুঠিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, আরসিসি রিটেইনিং ওয়ালের কাজ করা হয়নি। সেই টাকা দিয়ে রাস্তা এক্সটেনশন করা হয়েছে।

পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ, কে, এম, নূর হোসেন নির্ঝর জানান, সাবেক ইউএনও থাকতে হলে, বিষয়টি আমার জানা নাই। এই এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে পারবো না। তবে আরসিসি রিটেইনিং ওয়ালের টেন্ডার হওয়ার পর সেই অর্থ অন্য কাজে ব্যবহারের নিয়ম নাই।

এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু জানান, বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে কাজ না করে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটলে যথা যথ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।