১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:২০:২৫ অপরাহ্ন


একদিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল সৌদি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৩-২০২২
একদিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল সৌদি একদিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল সৌদি


একদিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল সৌদি। যা বিশ্বের ইতিহাসে নজির । এর আগে অবশেষে একদিনে সর্বাধিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রেকর্ড ছিল সৌদি আরবের নামেই। এদিন মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা প্রত্যেকেই জঙ্গি কার্যকলাপ সহ একাধিক ঘৃণ্য কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

সৌদির সরকারি সংবাদ সংস্থার তরফে ৮১ জনের শাস্তি কার্যকরের কথা জানানো হয়। বিবৃতি প্রকাশ করে তারা জানায়, ''নিরীহ মানুষ, মহিলা ও শিশুদের হত্যা সহ একাধিক আরও অপরাধে দোষী ছিলেন। এদের মধ্যে অনেকেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার সদস্য ছিল। আইএস এবং ইয়েমেনের হাইথি বিদ্রোহীরাও ছিল।'' সৌদির সরকারি প্রেস এজেন্সির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ''মৃতদের ৮১ জনের মধ্যে ৭৩ জনই সৌদি আরবের বাসিন্দা। বাকি আট জনের মধ্যে সাতজন ইয়েমেনের এবং একজন সিরিয়ার নাগরিক।

এর আগে ১৯৮০ সালে একসঙ্গে ৬৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এতদিন পর্যন্ত ওইটিই ছিল সর্বোচ্চ। ১৯৭৯ সালে মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে দখল করার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন এই ৬৩ জন। তাঁদের মুণ্ডচ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিতেই এমন পথ বেছেছেন বলে সরকারি সূত্রে খবর। ২০১৬ সালের পর ২০২২ সালে আবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে নিজেদেরই রেকর্ড ভাঙল সৌদি আরব। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান বোঝাতেই এই সিদ্ধান্ত।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালেও সৌদি আরবে একইসঙ্গে ৪৭ জনকে ফাঁসি কাঠে ঝোলানো হয়েছিল। তারপর থেকে একসঙ্গে এতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কোনও নজির পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের আহমেদাবাদ বিস্ফোরণ মামলায় সম্প্রতি নজিরবিহীন রায় শোনায় গুজরাটের বিশেষ আদালত। ৪৯ জন দোষীর মধ্যে ৩৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও বাকি ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা। দেশের মধ্যে প্রথমবার একসঙ্গে এতজনের মৃত্যুদণ্ডের সাজার রায় শোনাল আদালত।

১৩ বছর পর আহমেদাবাদ বিস্ফোরণ কাণ্ডে শুক্রবার রায় শোনায় আদালত। শুনানি শেষে মামলায় অভিযুক্ত ৭৭ জনের মধ্যে বাকি ৪৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল । বাকি ২৮ জনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে আদালত। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় এই মামলার শুনানি। গত বছরের সেপ্টেম্বরেই শুনানি শেষ হয়।

রাজশাহীর সময় / এম আর