২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:৩৩:১৬ অপরাহ্ন


নখ কামড়ে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে দ্রুত সতর্ক হোন
ফারহানা জেরিন এলমা
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৩-২০২২
নখ কামড়ে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে দ্রুত সতর্ক হোন ফাইল ফটো


অনেক কারণে নখ কামড়ানোর অভ্যাস থাকে অনেকের। আপাতদৃষ্টিতে নখ কামড়ানোকে নীরিহ অভ্যাস মনে হলেও আসলে কিন্তু তা নয়। নখ কামড়ানোর মাধ্যমে আপনার পেটের ভেতর কী প্রবেশ করছে তা জানা আছে কি?

আমাদের নখের ভেতরে জমে থাকে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া। আপনি যখন নখ কামড়ে খেতে থাকেন তখন আপনার অজান্তেই পেটের ভেতর সেসব চালান হতে থাকে। এরপর অসুস্থতার কারণে আপনাকে ভর্তি হতে পারে হাসপাতালেও।

আপনার যদি নখ কামড়ে খাওয়ার অভ্যাস থাকে তবে দ্রুত সতর্ক হোন। এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস এখনই বাদ দিন। কারণ এতে আপনার শরীরের নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে। নখ খেলে যেসব ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সেসব সম্পর্কে জেনে নিন-

নখ হারিয়ে ফেলা: আরাম করে এত যে নখ খাচ্ছেন, কী ক্ষতি হচ্ছে তা টের পাচ্ছেন কি? এই বদ অভ্যাস আজই বাদ দিন। মুখের কাছে হাত উঠতে চাইলেও দ্রুত তা নামিয়ে নিন। দরকারে হাত পিঠের কাছে রেখে দিন। আপনি যদি এভাবে নখ খাওয়ার অভ্যাস চালিয়ে যান তবে নেল বেড অতিমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে নখ পুনরায় বেড়ে উঠতে পারে না। এরপর ধীরে ধীরে আঙুল থেকে নখ হারিয়ে যায়।

মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে: আপনার নখ খাওয়ার অভ্যাস জন্ম দিতে পারে মুখে দুর্গন্ধের সমস্যার। নখে জমে থাকা নানা ব্যাকটেরিয়ার কারণে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। মুখের দুর্গন্ধের কারণে আপনি অস্বস্তিতে ভুগতে শুরু করতে পারেন। সবার সামনে কথা বলা কিংবা মন খুলেও হাসাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বুঝতে পারছেন, নখ খাওয়ার অভ্যাস আপনার জন্য মোটেই উপকারী কিছু নয়!

সৌন্দর্য নষ্ট হয়: নিজেকে সুন্দর ও পরিপাটি রাখা মোটেও দোষের কিছু নয়। প্রথম দেখায় মানুষ সবার আগে খেয়াল করে আপনি নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করছেন, সেদিকে। এদিকে আপনি যে নিয়মিত নখ খাচ্ছেন তাতে করে নখ ছোট হয়ে যায় এবং এর আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কমে যায় হাতের সৌন্দর্য। নিজের হাতে নিজের এমন ক্ষতি করার কোনো দরকার আছে কি!

ভাইরাল ইনফেকশনের ভয়: নখ খেলে তা ভাইরাল ইনফেকশনের কারণ হতে পারে। বার বার নখ খেলে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে। এই ভাইরাস আপনার শরীরে প্রবেশ করে নানা ধরনের জটিল অসুখের জন্ম দিতে পারে। তাই নখ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা আজই বাদ দিন।

রাজশাহীর সময়/এইচজেড