২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৫:১২:০৮ পূর্বাহ্ন


মুজিববর্ষ গ্রন্থ উৎসব-২০২২ উদ্বোধন করলেন রাবি উপাচার্য
রাবি প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৩-২০২২
মুজিববর্ষ গ্রন্থ উৎসব-২০২২ উদ্বোধন করলেন রাবি উপাচার্য মুজিববর্ষ গ্রন্থ উৎসব-২০২২ উদ্বোধন করলেন রাবি উপাচার্য


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ববৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাতির জনক শেখ মুজিবুরের শততম জন্ম বার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মুজিববর্ষ গ্রন্থ উৎসব-২০২২ শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চসকাল ১০টায় এ আয়োজনের প্রথম দিন অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

এছাড়াও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী জাকারিয়া হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক মোঃ আসাবুল হক ও নবজাগরণের উপদেষ্টা শিক্ষকমণ্ডলী।

“তারুণ্যের ভাবনার পরিধি বাড়াই, প্রান্তিক শিশুদের পাশে দাঁড়াই”, শিরোনামকে সামনে রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে সকাল ৯টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ বই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

গ্রন্থ উৎসব-২০২২ এ উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলো ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং সৌজন্যে রয়েছে শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি। অন্যান্য স্পন্সর হিসেবে ছিলো বারসিক, সড়ক পরিবহন গ্রুপ, ইন্টার থাই এ্যালুমিনিয়াম ও গ্লাস হাউজ, মেট্রো বুকস, নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, এবং অমিত আর্ট। এ বছরের গ্রন্থ উৎসবের আহ্বায়ক হিসেবে ছিলেন নয়ন আলী, তিনি নবজাগরণ ফাউন্ডেশননের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।

বই মেলাটি যেন বিভিন্ন নতুন ও পুরাতন লেখকের বইয়ের সমাহার। বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী গ্রন্থ ছাড়াও রাখা হয়েছে বিভিন্ন উঠতি নতুন লেখকদের বই। অন্যান্য কিছু দক্ষতাবৃদ্ধিক বই যেমন- দ্যা কম্পাউন্ড ইফেক্ট, সাকশেস টুল, করপোরেট লিডারশিপ, কম্পিউটার তথ্যপ্রযুক্তি, গাইড টু বিকামিং রিচ, নেগোসিয়েশন ইত্যাদি সংগ্রহে রয়েছে। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক স্যারের বই ও রাখা হয়েছে স্টলটিতে। একটি স্টলে বিভিন্ন সেকশনে ভাগ করে রাখা হয়েছে বই গুলো। 

এ আয়োজনের উদ্বোধনে ভিসি বলেন 'বই যা মানুষের আত্মা পরিশুদ্ধ করে, তারুণ্যের মননে আলোর পথ দেখায়। রাজশাহীতে একটি বই মেলার আয়োজন হবে, সকলের মনেই তার একটি সুপ্ত আকাঙ্খা বহন করে।  তাই এ আয়োজন কে আমি সাধুবাদ জানাই'

ইভেন্ট টির আহ্বায়ক নয়ন আলী বলেন, ' এ রকম একটি ব্যাতিক্রমধর্মী উদ্যোগের দায়িত্ব নেয়া ও সেই জায়গা থেকে আজকের আয়োজনের উদ্বোধন সবকিছুই ছিলো এক সুন্দর অনুভূতি, অনুষ্ঠানটি হয়ত আরো সাফল্য মন্ডিত করতে পারবেন পাঠকেরা, আপনারা সকলে আমাদের এ আয়োজনে আমন্ত্রিত ' 

বই মেলায় দর্শনে এক পাঠক জানান, ' এ বছর একুশে বই মেলায় নবজাগরণ এর গ্রন্থ উৎসবের জন্যে সে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলো। সেই অপেক্ষার পালা যেন মার্চ  মাসে এসে শেষ হলো, অন্য রকম এক ভালো লাগা কাজ করলো এই গ্রন্থ উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজনে এসে, পরবর্তীতে আমি ও আমার বন্ধু রা মিলে আসব কিছু বই কিনতে'।

নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের একজন উপদেষ্টা বলেন, 'পাঠকের কোলাহল আর নতুন বইয়ের গন্ধে বুদ্ধিজীবী চত্বর যেন নতুন রূপে মেতে উঠেছে। এ দৃশ্যের অনেক দিন পর দেখা মেললো যা সত্যিই আনন্দদায়ক, সকলে আসুন, আমাদের সংগৃহীত বই গুলো দেখুন আর আমাদের বই মেলা কে সমৃদ্ধ করুন। কারণ এ আয়োজন আপনাদের জন্যেই যার মাধ্যমে এই খুশি ছড়িয়ে যাবে ছিন্নমূল সমাজের মাঝেও।'

সর্বশেষ নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বলেন, 'এ আয়োজন টি করতে পেরে আমরা সকলেই খুশি। আপনারা সকলে আমন্ত্রিত। আপনারা বই দেখুন, বই কিনুন, বই উপহার দিন, এবং এ গ্রন্থ উৎসব কে উত্তোরোত্তর সাফল্যমণ্ডিত করুন।'

রাজশাহীর সময়/এএইচ