২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ০২:২৬:২৭ অপরাহ্ন


গর্ভাবস্থায় যে খাবারগুলো নিরাপদ মহিলাদের জন্য
ফারহানা জেরিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১১-২০২৩
গর্ভাবস্থায় যে খাবারগুলো নিরাপদ মহিলাদের জন্য ফাইল ফটো


গর্ভাবস্থায় সুষম খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক কী কী খাবেন এই সময়ে, কোন কোন খাবার কতটা পরিমাণে খাওয়া দরকার, কোন কোন খাবার খাওয়া এই সময় নিরাপদ তা অনেকেই জানেন না। এই সময় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খুব জরুরি। উদ্ভিজ উত্‍স সব সময় বেছে নেওয়া উচিত কারণ এটা প্রাকৃতিক।

প্রোটিন সমৃদ্ধ যে কোনো ধরনের ডাল খাওয়া এই সময় একান্ত দরকার। সাথে মটর শুটি, সোয়াবিন খাওয়া ভালো কারণ এতে আয়রন এর সাথে অন্যান্য দরকারি ভিটামিন ও উপাদান থাকে। সিম জাতীয় খাবার বেছে নেওয়া যেতে পারে। এদের অনেকের মধ্যেই ভিটামিন 'এ' থাকে যা শরীরের বিকাশে এবং গঠনে সাহায্যকারী। এতে জন্মের পর অনেক সময় বাচ্চা কম ওজনের হওয়া থেকে মুক্তি পায়। এই সময় দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া একান্তই দরকার। কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম- যা শরীরের গঠনে সাহায্য করে। এর সাথে থাকে জিংক, ম্যাগনেসিয়াম। এদের ভূমিকাও একই। এর মধ্যে সব থেকে বেশি ভালো দই। এই দই হজম ক্ষমতা ঠিক রাখে। সাথে প্রবায়তিক থাকার জন্যে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না। এই সময় মিষ্টি আলু খেতে পারেন। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে বেটা ক্যারোটিন। যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ তৈরি হয়। ভিটামিন এ শরীরের কোষ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে ভিটামিন এ খাওয়া জন্যে অবশ্যই উদ্ভিজ উত্‍স বেছে নেওয়া ভালো।গর্ভবস্তায় ডিম, সামুদ্রিক মাছ, মাংস খাওয়া উচিত।সামুদ্রিক মাছ অবশ্যই খাওয়া ভালো। কারণ সামুদ্রিক মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা শরীরের জন্যে দরকারি। এটা মস্তিষ্ক এবং চোখের উপকারে লাগে। তবে চিকিত্‍সকদের মতে বেশি পরিমাণে সামুদ্রিক মাছ খাওয়া ভালো না কারণ এতে অনেক সময় অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক শরীরে যেতে পারে। তাই সপ্তাহে দুদিনের বেশি কখনোই না।

ডিম সুষম খাদ্য। পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে এবং সুষম খাদ্য হিসেবে ডিমের কদর অনেক দিন থেকেই। তাই অবশ্যই ডিম খাওয়া দরকার। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে ডিম যেনো সম্পূর্ণ সিদ্ধ হয়। একটা ডিমে অন্যান্য ভিটামিনের সাথে প্রায় ৮০ ক্যালোরি থাকে। মাংস এই সময় খাওয়া যেতেই পারে। কারণ প্রাণীজ প্রোটিনের দরকারও আছে শরীরে। তবে পরিমিত পরিমাণে। তেল মশলা ছাড়া সাধারণ রান্না কোনো এক সময় খাওয়া যেতে পারে। চিকেন স্টু করে খাওয়াও যেতে পারে। প্রতিদিনের খাবারে অবশ্যই সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে। সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে থাকে। সাথে থাকে আয়রন, ফসফরাস, প্রাকৃতিক জিংক এবং ম্যাগনেসিয়াম। পাতাওয়ালা সবজি যেমন পুঁই শাক বা পালং শাক, ব্রকলি খাওয়া দরকার। এছাড়া প্রতিদিনের খাবারে অবশ্যই ফল রাখা জরুরি। যেকোনো ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। তাই ভিটামিনের প্রাকৃতিক উত্‍স হিসেবে যেকোনো খাবারের মধ্যে ফল অন্যতম। যেমন লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। আপেলে আয়রন থাকে। শরীরের দরকার অনুযায়ী ফল খাওয়া একান্ত দরকার। অনেকে ড্রাই ফ্রুট পছন্দ করেন। তাও বেছে নিতে পারেন। খেজুর বা কিশমিশ খেতে পারেন।