রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটের কীটনাশক ব্যবসায়ী খুরশেদ আলীর বিরুদ্ধে কীটনাশক ব্যবসার আড়ালে রাতে অবৈধ সার পাচারের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, সার বিপণন নীতিমালা লঙ্ঘন করে, চোরাপথে রশিদ বিহীন নিম্নমাণের (এমওপি) পটাশ সার মজুদ এবং উপেেজলার বাইরে পাচার করা হচ্ছে। ক্রয় রশিদ না থাকায় এসব সার আসল-নকল না নিম্নমাণের সেটা বোঝার উপায় নাই। আবার এসব সার কিনে কৃষকেরা প্রতারিত হলেও রশিদ না থাকায় তারা কোনো ক্ষতিপুরন চাইতে পারে না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউপির মালার মোড়ে প্রায় ১৫০ বস্তা এমওপি (পটাশ) সার বোঝাই ভুটভুট আটক করে কৃষকেরা। এসব সারের কোনো ক্রয় রশিদ ছিল না। ভুটভুটি চালক রাশেল বলেন, কেশরহাটের কীটনাশক ব্যবসায়ী খুরশেদ আলীর দোকান থেকে এসব সার নিয়ে আসছেন তানোরের মাদারীপুর মাঠে আমজাদের আলু প্রজেক্টে। তিনি বলেন, প্রতিদিন খুরশেদের দোকান থেকে তানোরের বিভিন্ন এলাকায় সার নিয়ে আশা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুরশেদ আলী বলেন, তিনি মোহনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেই তানোরে সার পাঠাচ্ছেন। তিনি বলেন, তানোরে সারের সংকট রয়েছে তারা সার না দিলে আলু আবাদ হবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, তিনি কাউকে উপজেলার বাইরে সার বিক্রির অনুমতি দেননি। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ বিষয়ে আমজাদ আলী বলেন, তানোরে সার না পেয়ে তিনি কেশরহাটের শফিকুল ইসলাম ও খুরশেদের কাছে থেকে সার কিনেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তানোর পৌর এলাকার তালন্দ বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী মনিরুলের দোকানে সার পেয়ে কোন মেমো দেখাতে না পারার অপরাধে ১ লাখ ২৬ হাজার, একই কারনে টিপুর ১০ হাজার ও গণেশের ১৫ হাজার এবং কলমা ইউপির সার ব্যবসায়ী নজরুলের পাচারে দায়ে এক লাখ টাকা, ধানতৈড় মোড়ের খুচরা সার ব্যবসায়ী জসিমের ট্রাকে করে সার নামানোর দায়ে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। অথচ কেশরহাটের খুরশেদ প্রকাশ্যে প্রতিনিয়ত একই অপরাধ করলেও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন চুপ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর উপজেলা বিসিআইসি সার ডিলার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বাবু বলেন, অন্য উপজেলার কীটনাশক ব্যবসায়ীরা যদি এভাবে সার বিক্রি করে তাহলে ব্যাংক ঋণের কোটি টাকা বিনিয়োগ করে তাদের ডিলারি করার কোনো মানে হয় না।