২৭ Jul ২০২৪, শনিবার, ১১:০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন


আমার এক কামরার ফ্ল্যাট, মমতা দিদি তার চেয়েও ছোট. সালমান
তামান্না হাবিব নিশু :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-১২-২০২৩
আমার এক কামরার ফ্ল্যাট, মমতা দিদি তার চেয়েও ছোট. সালমান আমার এক কামরার ফ্ল্যাট, মমতা দিদি তার চেয়েও ছোট. সালমান


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটে কেমন বাড়িতে থাকেন বাংলায় অনেকেরই সেই ধারণা রয়েছে। কিন্তু সালমান খান যে এক কামরার ফ্ল্যাটে থাকেন, কে জানত!

মঙ্গলবার কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সালমান। সেখানেই তাঁর ঘর-বাড়ি, মায়ের বাস্তু, বাতিক নিয়ে গল্প শোনালেন সালমান। 

বলিউডের এই সুপারস্টারই এবার চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন। সালমান  এদিন বলেন, “গতবার যখন কলকাতায় এসেছিলাম, তখন মমতা দিদির আমন্ত্রণে ওঁর বাড়ি গিয়েছিলাম। সত্যি বলতে কী আমার একটাই কৌতূহল ছিল, দিদির বাড়িটা কেমন!”

এদিনের উৎসব মঞ্চে ছিলেন বলিউড তারকা অনিল কাপুরও। এই কথার প্রসঙ্গেই অনিলের বাড়ির কথাও তোলেন সালমান। বলেন, “একদিন অনিল সাহেবের ফোন এল। বললেন, তুমি একবার আসতে পারবে? খুব বিপদে পড়েছি। ওঁর বাড়িতে গেলাম। বললেন, চলো আমার বাড়িটা দেখাই। এর পর গ্রাউন্ড ফ্লোর দেখলাম। তার পর ফার্স্ট ফ্লোর। ভাবলাম, এখানেই বুঝি শেষ! তার পর সেকেন্ড, থার্ড, ফোর্থ ফ্লোরও দেখালেন। এখন বোধ হয় আরও বড় হয়ে গেছে!”

অনিলের প্রসঙ্গ থেকে ফের মমতার বাড়ির প্রসঙ্গে ফিরে আসেন সালমান । ভাইজান বলেন, “আমার তো হিংসা হচ্ছে, ওঁর বাড়ি সত্যিই আমার বাড়ি থেকে ছোট! শত্রুঘ্ন সিনহা আমার বাড়িতে এসেছিলেন। বসার জায়গা দিতে পারিনি। একটাই ঘর, একটা কিচেন। আর একটা শোওয়ার ঘর।”

সালমানের কথায়, “এত বড় পদে থাকা একটা মানুষের বাড়ি কী করে আমার থেকে ছোট হতে পারে! এজন্যই হিংসা করছি। এর থেকেই বোঝা যায় কতটা সহজ সরল জীবনযাপন করা যায়।”

এ বছরের মাঝামাঝি সালমান যখন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন, তখনই তাঁকে চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মমতা। সলমন এদিন জানান, তখনই মমতা দিদিকে কথা দিয়েছিলাম। আর সোনাক্ষী জানে, ‘ম্যায় একবার কমিটমেন্ট কর দিয়া তো খুদ কা ভি নেহি শুনতা’।

এদিনের সন্ধে মোটামুটি ভাবে জমিয়ে রাখেন সালমান। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম জুড়ে তাঁর প্রতিটা কথায় হাততালি পড়ে। তাতে যেন একটা মাত্রা জুড়ে দেন অনিল কাপুর। মঞ্চে বসেই দু কলি গানও গেয়ে দেন অনিল কাপুর‘জিন্দেগি কি এহি রীত হ্যায়, হার কে বাদ হি জিত হ্যায়।’