০৩ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:১২:৫৮ অপরাহ্ন


রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ গ্রেফতার
ইব্রাহীম হোসেন সম্রাট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-১২-২০২৩
রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ গ্রেফতার রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ গ্রেফতার


রাজধানীতে বিপুল পরিমান বিটিআরসির অনুমোদনবিহীন অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ মোঃ মেহেদী হাসান নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ৩। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে সাড়ে দশটায় রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন ৮৬ আরামবাগ খন্দকার ভিলা এর ৮ম তলায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার আসামী মোঃ মেহেদী হাসান(৩১), সে খুলনা জেলার আড়ংঘাটা থানাধীন ধাইগ্রাম এলাকার  মৃত হাফিজ গাজী’র ছেলে।

এসময় তার কাছে থেকে ২৫৬ পোর্ট এর ০৭টি সীমবক্স, ১২৮ পোর্ট এর সীমবক্স ১২টি, ১৯টি ভিওআইপি সেট, ৫৪২৯টি সীমকার্ড, ০২টি ল্যাপটপ, ০১টি সিপিইউ, ০১টি মনিটর, ৬১টি রাউটার, ৭৯টি পাওয়ার ক্যাবল, ৮৯টি চার্জার, ১০টি মডেম, ০৫টি মোবাইল, ১৮টি মাল্টিপ্লাগ, ০১টি মাউস, ০১টি কীবোর্ড, ১৮ টি ভিওআইপি সিমবক্স, ১৯ টি রাউটার, ০৩ টি রাউটার সুইজ, ২০ টি বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল, ০৬ টি এ্যাডেপটার, ১৫ টি ইউটিপি লেন ক্যাবল এবং ০২ টি পেনড্রাইভ জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় র‌্যাব-৩ এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞিপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। 

র‌্যাব জানায়,  সম্প্রতি বিভিন্ন চক্র অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল জানতে পারে যে, অবৈধ ভিওআইপি কারবারী ঢাকা মহানগরীর মতিঝিল থানাধীন ৮৬ আরামবাগ খন্দকার ভিলা এর ৮ম তলায় বিটিআরসির অনুমোদনবিহীন অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদি স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বর্হিবিশ্বের সাথে টেলিযোগাযোগের ব্যবসা করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে র‍্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান নির্ণয় করে র‍্যাব-৬ কে অবহিত করা হয়। 

র‌্যাব আরও জানায়, র‍্যাব-৬ এমন তথ্যর ভিত্তিতে খুলনা জেলার মুজগুন্নি আবাসিক ভবন হতে বিটিআরসির অনুমোদনবিহীন অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ আসামি মোঃ মেহেদী হাসান কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসময় তার কাছে থেকে  ২৫৬ পোর্ট এর ০৭টি সীমবক্স, ১২৮ পোর্ট এর সীমবক্স ১২টি, ১৯টি ভিওআইপি সেট, ৫৪২৯টি সীমকার্ড, ০২টি ল্যাপটপ, ০১টি সিপিইউ, ০১টি মনিটর, ৬১টি রাউটার, ৭৯টি পাওয়ার ক্যাবল, ৮৯টি চার্জার, ১০টি মডেম, ০৫টি মোবাইল, ১৮টি মাল্টিপ্লাগ, ০১টি মাউস, ০১টি কীবোর্ড, ১৮ টি ভিওআইপি সিমবক্স, ১৯ টি রাউটার, ০৩ টি রাউটার সুইজ, ২০ টি বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল, ০৬ টি এ্যাডেপটার, ১৫ টি ইউটিপি লেন ক্যাবল এবং ০২ টি পেনড্রাইভ জব্দ করা হয়।

এসময় আসামি জব্দকৃত সরঞ্জামাদির বৈধ কোন কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামী গত তিন বছর যাবৎ অবৈধভাবে ভিওআইপি সরঞ্জামাদি দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করে বর্হিবিশ্বের সাথে টেলিযোগাযোগ ব্যবসার মাধ্যমে সরকারকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সর্বপরি অবৈধ উপার্জিত অর্থ বেআইনিভাবে সংরক্ষণ করে আসছে। একারণে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ (সংশোধনী ২০১০) এর ৩৫(২)/৫৫(৭)/৭৩ ধারায় অপরাধ করে আসছে।

গ্রেফতার আসামীর বিরুদ্ধে জব্দকৃত ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে থানায় জমা প্রদান করা হয়েছে।