০৫ মে ২০২৪, রবিবার, ০৫:০৬:৫৮ অপরাহ্ন


ত্বকের বয়স কমিয়ে দেয় এই লতায়
ফারহানা জেরিন:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-১২-২০২৩
ত্বকের বয়স কমিয়ে দেয় এই লতায় ত্বকের বয়স কমিয়ে দেয় এই লতায়


গিলয় উদ্ভিদ ভারতীয় আয়ুর্বেদ অন্যতম কার্যকর উদ্ভিদ হিসাবে বিবেচিত হয়। এই উদ্ভিদটি সংস্কৃতে ‘অমৃত উদ্ভিদ’ নামে পরিচিত। আয়ুর্বেদশাস্ত্রে এটি একটি অলৌকিক উদ্ভিদ হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ এটি নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা এবং রোগ নিরাময় করতে সক্ষম।

কীভাবে খাবেন গিলয়? সারা রাত এক থেকে আধ ইঞ্চি গিলয়ের লতা বা ডাল জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সকালে এটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে খালি পেটে পান করতে হবে। এতে অনেক সাধারণ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।গিলয় সেবনে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিবায়োটিক-ধর্মী নানা বৈশিষ্ট্য আমাদের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। 

ডায়াবেটিসের জন্য কার্যকর: গিলয় প্রধানত রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ইনসুলিন হরমোন তৈরি করতেও এটি বিশেষ সহায়তা করে। এই ইনসুলিন টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এর জন্য এক গ্লাস জলে এক চামচ গিলয়ের রস এবং আমলকি মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে সেবন করলে উপকার মিলবে।

দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কার্যকর: চোখে গিলয় লাগালে এটি চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে। এর জন্য এক থেকে আধ ইঞ্চি গিলয় লতা বা ডাল সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে এর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হবে।

জ্বরে উপকারী: অনেক সময় দেখা যায়, রোগীদের বারবার জ্বরের সমস্যা হচ্ছে। এর জন্য গিলয় সেবন করা যেতে পারে। এটি জ্বরের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং বারবার জ্বরের হাত থেকে মুক্তি দেয়। গিলয় টাইফয়েড এবং ডেঙ্গি জ্বরও দূর করে। আর তার জন্য গিলয়-এর ডাল সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে গরম জলে গিলয়ের পাতা ও লতা সেদ্ধ করে প্রতিদিন আধ কাপ জল পান করতে হবে।

হজম শক্তির উন্নতি ঘটায়: নিয়মিত গিলয়ের রস পান করলে হজম প্রক্রিয়া শক্তিশালী হয়। যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটের সমস্যা দূর হয়। এর জন্য প্রতিদিন এক গ্লাস জলে এক চামচ গিলয়ের রস মিশিয়ে সেবন করলে পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে: 

গিলয়ে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক গ্লাস গরম জলের সঙ্গে এক চা-চামচ গিলয়ের রস মিশিয়ে পান করলে মুখের ত্বক সুন্দর ও তারুণ্যে ভরা থাকে।

পুঁইশাকের বীজে রয়েছে নানা রোগের ওষুধগুণ। কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে নীলচে কালো রঙের দেখায় এই পুঁইশাকের বীজ। এই পুঁই বীজে ফলিক এসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন ও জিংক রয়েছে।