চাকরির প্রলোভনে বিভিন্ন সময় ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১০ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরছেন। শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে আখাউড়া-আগরতলা ইমিগ্রেশন সীমান্তের শূন্যরেখা দিয়ে তারা দেশে ফেরেন।
জানা গেছে, ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনারের কর্মকর্তারা এসব বাংলাদেশিদের আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তীর কাছে স্থানান্তর করেন। এদের মধ্যে একই পরিবারের ৫ জন রয়েছে। তারা অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করেছেন।
ফিরে আসা নাগরিকরা হলেন- নরাইলের কালিয়া উপজেলার পারবিষ্ণুপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. আহাদ মিনা ও মো. আল আমিন মিনা, মো. আল আমিন মিনার স্ত্রী মোছা. কুলছুল বেগম, আল আমিন মিনার ছেলে রিফাত মিনা, সিফাত মিনা, একই গ্রামের আসাদ মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ মোল্লা, মুজিবুর শেখের ছেলে মো. রাজু শেখ ও নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলার চানপাড়া গ্রামের মো. কদর আলীর মেয়ে মোছা. সাজিদা খাতুন, আবুল কাসেমের মেয়ের সুমি আক্তার কাজলী ও কাজলীর নবজাতক ছেলে সানজিদ মোল্লা।
পাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তিরা জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে সীমান্তপথে তারা ভারতে পাড়ি জমান। পরে দালালরা তাদের সেখানে ফেলে পালিয়ে আসে। এরপর ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সময়ে তাদের আটক করে জেল হাজতে পাঠায়।
সীমান্তের শূন্যরেখায় শিরিনা বেগম বলেন, আমার পরিবারের ৫ জন দুই বছর আগে দালালের মাধ্যমে কাজের সন্ধ্যানে ভারতে গিয়ে আটকা পড়ে। এর মধ্যে ২ ছেলে, এক ছেলের বউ, ২ নাতি রয়েছে। দীর্ঘ ২ বছর পর তাদের ফেরত পেয়ে আমার ভালো লাগছে। আমি যেন তাদের সাথে শান্তিতে বসবাস করতে পারি সেই কামনা করি।
এ ব্যপারে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের কনসুলার অফিসার মো. ওমর ফারুক বলেন, বাংলাদেশি এসব নাগরিকরা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করেন। ত্রিপুরার নরসিংগড়ে একটি ডিটেনশন সেন্টারে ছিলেন তারা। বিষয়টি বাংলাদেশ হাইকমিশন জানতে পারলে আমরা সেখানে গিয়ে খোঁজ-খবর নেই। তাদের নাম-ঠিকানা বাংলাদেশে পাঠাই। দুই দেশের প্রক্রিয়া শেষে আজ তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলো।