২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ০৬:২৪:৩৭ অপরাহ্ন


মহানগরীতে দখলকৃত জমিতে ডাক্তার দম্পতির বাড়ি নির্মান, উচ্ছেদের আদেশ দিলো আদালত
স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৩-২০২২
মহানগরীতে দখলকৃত জমিতে ডাক্তার দম্পতির বাড়ি নির্মান, উচ্ছেদের আদেশ দিলো আদালত মহানগরীতে দখলকৃত জমিতে ডাক্তার দম্পতির বাড়ি নির্মান, উচ্ছেদের আদেশ দিলো আদালত


রাজশাহী মহানগরীতে ভুয়া দলিলে জমি দখল করে বাড়ি নির্মান করে বসবাসকারী দখলদারের বাড়ি উচ্ছেদের আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।

গত ২৪ জুন ২০১৯ তারিখে এ রায় প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। এরপর চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রাম এলাকায় দখলদার মৃত ডাক্তার মামুনুর রশিদ ও তার স্ত্রী ডাক্তার রোকশানা আক্তার জাহান দলিল বাতিলের একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু সেই মামলাতেও তাদের বিপক্ষে রায় প্রদাণ করেন আদালত। কিন্তু কুট কৌশল অবলম্বন করে ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহীনি ভাড়া করে সেই জমিতে তাদের নির্মিত বাড়িতে ভাড়াটিয়া রাখেন। 

অবশেষে গত (২৪ জুন) জমি থেকে বাড়ি উচ্ছেদের আদেশ দেন সাব জজ -১ এর আদালত।

জমির মালিক ভুক্তভোগী নারী মোসাঃ আসমা খাতুন। তিনি নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার বালিয়া পুকুর এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের স্ত্রী।

তিনি জানান, মৃত ডাক্তার মামুনুর রশিদ ও তার স্ত্রী ডাক্তার রোকশানা আক্তার জাহানের নজরে পড়ে। শুরু হয় জমি দখলের প্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত তারা স্থানীয় গুন্ডাবাহিনী ভাড়া করে ক্রয়কৃত জমিটি দখল করেন। পরে সেই জমিতে তারা একতলা বাড়ি নির্মান করে বাড়ি ভাড়া দেন।

এরপর কোন উপায় না দেখে ১ফেব্রুয়ারী ২০১৫ তারিখে ভুক্তভোগী আসমা বেগম  নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তাতে কোন প্রতিকার পাননি। 

পরে তিনি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের দারস্ত হন। 

অবশেষে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক তার পক্ষে সমস্ত রায় প্রদান করেন। 

মামলার আর্জি বিশ্লেষন করে জানা যায়, জমি তফসিল রেকর্ডিয় প্রজা মোঃ আতাহার আলী, মৌজা ছোট বনগ্রাম জে.এল-১৩৩, এস.এ খতিয়ান-১৩৭, এস.এ দাগ-৮২৫, আর.এস খতিয়ান ২১, আর.এস দাগ নং-১৬৫, জমির পরিমান-১.২১একর জেলা রাজশাহী।

মোঃ আতাহার আলী গত প্রায় ৪০ বছরে পূর্বে নগরীর ছোটবনগ্রাম এলাকায় জে,এল -১৩৩, এস.এ খতিয়ান -আর.এস খতিয়ান ২১, আর.এস দাগ নং-১৬৫ দাগে ১.২১ একর জমিই ৭ জনের কাছে বিক্রি করে। পরবর্তীতে ভুয়া দলিল তৈরী করে মৃত ডাক্তার মামুনুর রশিদ ও তার স্ত্রী ডাক্তার রোকশানা আক্তার জাহানের কাছে বিক্রি করে। যাহার পরিমান .০৮৭৪। কিন্তু সেই জমির প্রকৃত মালিক মোসাঃ আসমা খাতুন। তাকে ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনি দিয়ে জোর পূর্বক জমি থেকে বে-দখল করা হয়। পরে সেই জমিতে একতলা বিশিষ্ট বাড়ি নির্মান করে দখলদার মৃত ডাক্তার মামুনুর রশিদ ও তার স্ত্রী ডাক্তার রোকশানা। বিষয়টি বর্ণনা পূর্বক মোঃ আতাহার আলি নামীয় খতিয়ান ২১ জমি অবশিষ্ট থাকায় বিক্রয়ে এবং ১৬ নং হোল্ডিং সমন্বয়ের আবেদন দাখিল করিলে সহকারী কমিশনার (ভূমি), বোয়ালিয়া, রাজশাহী কতৃক অফিসে ৮৩/ঢওওও/ ২০১৫-১৬ নং বিবিধ কেস দায়ের হয়। ওই কেসে ৬ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে একটি আদেশ দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি), বোয়ালিয়া। আদেশে বলা হয় উক্ত জমিতে মৃত ডাক্তার মামুনুর রশিদ ও তার স্ত্রী ডাক্তার রোকশানা আক্তার জাহানের কোন জমি নাই। উক্ত বে-দখলকৃত জমি উদ্ধারে রাজশাহীর যুগ্ম জেলা জজ-১ম আদালতে মোকাদ্দমা নং ১৬৭/১৫ দাখিল হয়। তাহাতে বাদী আসমা বেগম বিবাদী আতাহার আলী , মামুনুর রশিদ ও রোকশানা আক্তার জাহানকে পক্ষ করে মামলা চলমান থাকে। উক্ত উচ্ছেদ মামলায় বিবাদীগণ অর্থাৎ আতাহার আলী, মামুনুর রশিদ ও রোকশানা আক্তার জাহানকে কোন সাক্ষী বা প্রমানাদী দাখিলকরতে পারে নাই। ফলে বিজ্ঞ আদালতে আসমা বেগমের পক্ষে জমি থেকে দখলদার আতাহার আলী, মৃত মামুনুর রশিদ ও রোকশানা আক্তার জাহানকে উচ্ছেদের রায় প্রদান করেন। 

অন্যায় ভাবে জমির মালিকানা দাবি করে তাহাতে নির্মিত কাঠামো উচ্ছেদের আদেশ জারি মামলা নং-৮/২১। এছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশন কতৃক জখলবাজদের হোল্ডিং বাতিল হয়।

রাজশাহীর সময় / এম জি