০১ মে ২০২৪, বুধবার, ০৮:২৫:১৭ অপরাহ্ন


রাজশাহীতে অর্ধেকে নেমেছে তরমুজের দাম, তবুও নেই ক্রেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৪-২০২৪
রাজশাহীতে অর্ধেকে নেমেছে তরমুজের দাম, তবুও নেই ক্রেতা ছবি: সংগৃহীত


রোজার শুরুতেই দেশের বাজারে পাওয়া যায় তরমুজ। আর ইফতারে এই ফলের চাহিদা বাড়ে পুরোদমে। সেই সুযোগে বিক্রেতারা হুহু করে বাড়ায় দাম। যা কিনতে হিমশিম খান ক্রেতা সাধারণ। তাই এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘তরমুজ বয়কট’ ডাক দেয় সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি বাজারে তরমুজের সরবরাহ বেড়েছে অনেক। যার প্রভাব পড়ছে রাজশাহীর বাজারেও । অর্ধেক দামেও মিলছে না তরমুজের ক্রেতা। ৮০ টাকা কেজির তরমুজ নেমে এসেছে ৪০ টাকায়। তারপরও ক্রেতা নেই। ফলে বিক্রেতাদের কপালে হাত।

রাজশাহীতে সকালের তরমুজের অর্ধেক দাম রাতে কমছে আরও। অর্থাৎ সকালের তরমুজ রাতে কিনতে গেলে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরেও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এরপরও ফাঁকা ফাঁকাই থাকছে তরমুজের দোকান। কারণ দাম কমলেও কাটার পর বেশিরভাগ তরমুজ ভেতরে কাঁচা অর্থাৎ অপরিপক্ক পাওয়া যাচ্ছে।

এতে মন ভাঙছে ক্রেতাদের। তাই কম দাম দিয়ে তারা অপরিপক্ক তরমুজ কিনতে নারাজ। এর ওপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত দামের কারণে তরমুজ বয়কটের ঘোষণায় ধস নেমেছে বেচাকেনায়। পচে যাওয়ার আশঙ্কায় রাজশাহীতে এখন কম দামেই তরমুজ বিক্রি করে দিচ্ছেন সেই মজুতদার ও অসাধু ব্যবসায়ীরা। এবার গোটা দেশেই হুলস্থ’ূল ফেলে দিয়েছিল গরিবের রসালো ফল তরমুজ। এ বছর মৌসুমের আগেই বাজার দেখা যায় শিশু থেকে প্রবীণ সবারই পছন্দের ফল তরমুজের। গ্রীষ্মের এ আকর্ষণীয় ফল তাই বিক্রি হচ্ছিল বসন্তেই। তবে শুরু থেকে দাম ছিল চড়া। আর রমজানের শুরুতে এর দাম হয়ে ওঠে আকাশচুম্বী। পিস হিসেবে মোকাম থেকে কিনে নিয়ে আসা তরমুজ বিক্রি হচ্ছিল ৮০ টাকা কেজি দরে। এ নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায় সর্বত্র।

আর্থাৎ ৪-৫ কেজি ওজনের একটি তরমুজ কিনতে গেলেও প্রায় ৫০০ গুণতে হচ্ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়েও তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের লাগালে আনা যাচ্ছিল না। উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাড়তি দামের কারণে তরমুজ বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। অনেকেই এ আহবান জানিয়ে হ্যাশট্যাগ (#) করেন। এর প্রভাব পড়েছে রাজশাহীর তরমুজের বাজারেও।

মহানগরীর সবচেয়ে বড় তরমুজের মোকাম শালবাগান বাজার। এর আশপাশেই তরমুজের সবগুলো বড় আড়ত। এখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই বাড়তি দামে তরমুজ না কেনার ডাক দিয়েছেন। এতে অনেকেই সমর্থন দিয়ে তরমুজ কিনছেন না। এর প্রভাব পড়েছে রাজশাহীর বাজারেও। আর মৌসুম শুরু হওয়ায় বাজারে চলতি সপ্তাহে তরমুজের সরবরাহও বেড়েছে। এখন তরমুজের বিক্রি না বাড়লে তারা চরম বেকায়দায় পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন।

মহানগরীর শালবাগান বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি বলেন, চলতি সপ্তাহে তরমুজের সরবরাহ বেড়েছে। তাই দামও কমেছে। কিন্তু বাজারে তরমুজের ক্রেতা খুবই কম। যারা বড় বড় ইফতার মাহফিলের আয়োজন করছেন তারা কিনছেন। এছাড়া কিছু উচ্চবিত্ত শ্রেণির মানুষ নিয়মিত কিনছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ তরমুজের বাজারে নেই বললেই চলে। কোনো কোনো ব্যবসায়ী তরমুজ বিক্রি করতে না পারায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন।