২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:৩৬:২৯ অপরাহ্ন


কান্নাকাটি করেও বিমানে উঠতে দিলো না ঋতুপর্ণাকে
তামান্না হাবিব নিশু:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৩-২০২২
কান্নাকাটি করেও বিমানে উঠতে দিলো না ঋতুপর্ণাকে কান্নাকাটি করেও বিমানে উঠতে দিলো না ঋতুপর্ণাকে


ভোরের বিমান। বোর্ডিংয়ের সময় ভোর ৪.৫৫ মিনিট। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত পৌঁছেছেন ৫.১২ মিনিটে। টানা ৪০ মিনিট ধরে অনুরোধ, উপরোধ। তার পরেও তাঁকে বিমানে উঠতে দিল না প্রথম সারির একটি বিমান সংস্থা! টলিউডের প্রথম সারির নায়িকার গন্তব্য আমদাবাদ। সেখানে দিন-রাতের শ্যুট করতেই তাঁর এই যাত্রা। পুরোটাই মাঠে মারা গেল বিমান কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে! এমনই অভিযোগ নায়িকার।

কী হয়েছে পর্দার ‘পারমিতা’র সঙ্গে? ঋতুপর্ণা জানিয়েছেন, আমদাবাদের বিমান ধরার জন্য যাত্রীদের গেট নং ১৯-এ বোর্ডিংয়ের সময় ভোর ৪.৫৫ দেওয়া হয়েছিল। তিনি পৌঁছন ৫.১০ থেকে ৫.১২ মিনিটের মধ্যে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জানানো হয়, বোর্ডিং গেট অনেক ক্ষণ আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে! এবং তাঁকে দেখতে না পেয়ে নির্দিষ্ট সময়ে নাকি তাঁর নাম ঘোষণাও করেছেন কর্তৃপক্ষ। ফোনেও যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু নায়িকার দাবি, তাঁর কাছে ফোনে কোনও ফোন আসেনি। এ দিকে, সঠিক সময়ে শ্যুটিংয়ে না গেলে প্রযোজকের সমস্যা হবে। বন্ধ হয়ে যাবে শ্যুট। তাই সেই সময় তিনি ক্রমাগত বিমানবন্দরের কর্মীদের তাঁকে বিমানে উঠতে দেওয়ার অনুরোধ জানাতে থাকেন। এ ভাবে টানা ৪০ মিনিট তাঁর সঙ্গে কথা হয় কর্মীদের। কিন্তু নায়িকার দাবি, তাঁর সমস্যা কেউ বুঝতেই চাননি! বিমান ধরতে না পারার কষ্টে কেঁদেও ফেলেন অভিনেত্রী। তবু কোনও হেলদোল দেখা যায়নি কর্মীদের।

অথচ এই বচসা চলার সময়েই ঋতুপর্ণা দেখতে পান বিমানটি তখনও দাঁড়িয়ে! বিমানে ওঠার সিঁড়িও খুলে নেওয়া হয়নি! অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘মাত্র ৫০ পা দূরে বিমান দাঁড়িয়ে। আমি দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু যেতে পারছি না। অথচ আমার বোর্ডিং পাস থেকে শুরু করে সিট নম্বর সব মজুত। কিছু দিন আগেই আমায় সংস্থার পক্ষ থেকে সম্মানসূচক পাসপোর্টও দেওয়া হয়েছে। নয় নয় করে বেশ কয়েক বার এই সংস্থার বিমানে চড়ে যাতায়াতও করেছি। কোনও দিন এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়নি!’

রাজশাহীর সময় / এম জি