ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা পেয়েও জিততে পারল না ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যান সিটি ছিটকে গেল রিয়াল মাদ্রিদের কাছে টাইব্রেকারে হেরে গিয়ে। নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে। তারপরে টাইব্রেকারে ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়। শুটআউটে জোড়া সেভ করেন খেলার নায়ক রিয়াল গোলকিপার আন্দ্রে লুনিন।

৪-৩ গোলে রিয়াল মাদ্রিদ জয় তুলে নিয়ে শেষ চারে পৌঁছে যায়। অন্য ম্যাচে, আর্সেনালকে ১-০ গোলে হারিয়ে শেষ চারে খেলার ছাড়পত্র পায় বায়ার্ন মিউনিখও। সেমিফাইনালে রিয়ালের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে বায়ার্ন মিউনিখ।

গত সপ্তাহে রিয়ালের ঘরের মাঠে ভাল খেলেছিল ম্যান সিটি। ৩-৩ গোলে অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয়েছিল সেই ম্যাচ। ঘরের মাঠেও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপট ছিল তাদেরই। ১২ মিনিটে রিয়ালকে এগিয়ে দিয়েছিলেন রদ্রিগো। কিন্ত্ত বাকি ম্যাচে রিয়ালের বক্সে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে ম্যান সিটি।

৭৬ মিনিটে সিটির হয়ে কেভিন দি ব্রুইন সমতা ফেরানোর পর অনেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রত্যাবর্তনের। তা হয়নি। ৯০ মিনিটে দুই পর্ব মিলিয়ে খেলার ফল ৪-৪ থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও কোনও গোল হয়নি। পেনাল্টি থেকে রিয়ালের লুকা মদ্রিচের প্রথম শটই বাঁচিয়ে দেন সিটি গোলকিপার এদেরসন। কিন্ত্ত বের্নার্দো সিলভা এবং মাতেয়ো কোভাচিচের শট বাঁচিয়ে দেন রিয়াল গোলকিপার লুনিন। সেটাই শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গডে় দেয় ম্যাচে।

ম্যাচের পর রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলোত্তি বলেছেন, 'আমাদের কাছে এটা বাঁচার লড়াই ছিল। মাদ্রিদ এমন একটা ক্লাব যারা খাদের কিনারায় দাঁডি়য়ে সেরা লড়াইটা করে। তখন কোনও রাস্তা থাকে না, তখন মাদ্রিদ নিজেরাই রাস্তা খুঁজে নেয়। টাইব্রেকার হওয়ার সময়ই জানতাম আমরা সেমিফাইনালে যাব।' সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার কথায়, 'এই ধরনের প্রতিযোগিতায় এমনই হয়। অন্য কোনও প্রতিযোগিতা হলে এ রকম পরিসংখ্যান নিয়ে হাসতে হাসতে জিততে পারতাম।'

এদিকে, লন্ডনে গিয়ে ২-২ ড্র করার পর নিজেদের মাঠে আর্সেনালকে ১-০ হারাল বায়ার্ন মিউনিখ। ম্যাচের একমাত্র গোল জোশুয়া কিমিখের। ৩০ এপ্রিল সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে বায়ার্নের মাঠে খেলবে রিয়াল। ৭ মে দ্বিতীয় পর্ব হবে রিয়ালের মাঠে।