যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কন্সাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা বলেছেন, প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের পরিকল্পনা করেছে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৬টি দেশে খুব শিগিগির শুরু হতে যাচ্ছে এনআইডি প্রদান কার্যক্রম। পর্যায়ক্রমে নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে।মঙ্গলবার (১৪ মে) স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় নিউ ইয়র্ক কনস্যুলেটের ডিপুটি কন্সাল জেনারেল এসএম নাজমুল হাসান, ফার্ষ্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট) প্রসুন কুমাত চক্রবর্তী ও কাউন্সেলর অ্যান্ড হেড অব চ্যান্সেরি ইশরাত জাহানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
নাজমুল হুদা কনসাল জেনারেল হিসেবে যোগদানের পর গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে এটি ছিল তাঁর দ্বিতীয় মতবিনিময় সভা। এ সাভায় তিনি তাঁর লক্ষ্য, কর্মপরিকল্পনা ও উদ্যোগসমূহের ব্যাপারে সবাইকে অবহিত করেন। তিনি কনস্যুলেটের সেবার মান বৃদ্ধিতে কনস্যুলেট জেনারেলের আন্তরিকতা ও নিরলস কর্মপ্রচেষ্টার কথা ব্যক্ত করেন। নিউ ইয়র্ক কনস্যুলেটের সেবা নিতে আসা প্রবাসীদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন বর্তমান কর্মস্থলে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে স্থান সংকুলান ও গাড়ির পার্কিং। গাড়ির পার্কিং খুঁজতে খুঁজতে অনেকেই তাদের সিরিয়ালের নির্দিষ্ট সময় হারিয়ে ফেলেন। ভেতরে বসার জায়গা না পেয়ে অনেকেই দাঁড়িয়ে থাকেন। তাই শিগগির আমরা নতুন ভবনে কর্মস্থল স্থানান্তরিত করব। আগামী সেপ্টেবরের প্রথম সপ্তাহে নতুন ভবনে যাবার পরিকল্পনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সকলের প্রচেষ্টায় বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে, যা ২০২৬ সালে পূর্ণরূপে স্বীকৃতি পাবে। ২০০৮-০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ও উন্নয়নশীল অর্থনৈতিক সক্ষমতার কথা তুলে ধরেন। তিনি মিডিয়া ব্যক্তিত্বের এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং এ বিষয়সমূহ জনগণের সামনে, বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের সাথে প্রবাসী বাংলাদেশীদের যোগসূত্র রক্ষায়, প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রচার ও প্রসারে কনস্যুলেট জেনারেলের নিরবিচ্ছন্ন প্রচেষ্টায় সকল প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
কূটনীতিকে কনসাল জেনারেল তাঁর নিউ ইয়র্ক মিশনের মূল লক্ষ্য হিসেবে অভিহিত করেন। উপস্থিত সংবাদকর্মীরা নিউ ইয়র্কে সোনালী ব্যাংক কিংবা বাংলাদেশের যে কোনো রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকের একটি ডেস্ক বসিয়ে মানি অর্ডারসহ কন্স্যুলেট সংক্রান্ত সকল লেনদেনের আহাবান জানান। এর বিকল্প হিসেবে লেনদেনের জন্য ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড গ্রহণেরও পরামর্শ দেন সংবাদকর্মীরা।