দোয়া এবং চেষ্টা মানুষের জীবন অনেক প্রভাব রাখে। এর মাধ্যমে মানুষ নিজের চাওয়া-পাওয়া, ঘটতে যাওয়া অনেক বিপদাপদ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারেন। মানুষের ভাগ্যে যা থাকে মানুষ তাই পেয়ে থাকে। তবে দোয়া, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা মানুষকে আরও বেশি কিছু দেয়।
মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত, অনেক আগে থেকেই লিপিবদ্ধ। তবে দোয়া মানুষের ভাগ্য পরির্বতন সহায়তা করে বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘দোয়া ছাড়া কোনো কিছু তাকদির (আল্লাহর ফায়সালা) রোধ করতে পারে না। আর মা-বাবার আনুগত্য ছাড়া কোনো কিছুই আয়ু বাড়াতে পারে না।’ (তিরমিজি: ২১৩৯)
এখানে সূরা হাশরে বর্ণিত একটি দোয়া তুলে ধরা হলো যেখানে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও অন্যের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ থেকে মুক্তি কামনা করা হয়েছে।
رَبَّنَا اغۡفِرۡ لَنَا وَ لِاِخۡوَانِنَا الَّذِیۡنَ سَبَقُوۡنَا بِالۡاِیۡمَانِ وَ لَا تَجۡعَلۡ فِیۡ قُلُوۡبِنَا غِلًّا لِّلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا رَبَّنَاۤ اِنَّکَ رَءُوۡفٌ رَّحِیۡمٌ
উচ্চারণ: রাব্বানা-গফির লানা ওয়ালি ইখওয়ানিনা-ল্লাযিনা ছাবাকুনা- বিল-ঈমান, ওয়ালা তাজআ’ল -ফিক্বুলুবিনা-গিল্লাল্লাযি-না আমানু, রাব্বানা ইন্নাকা রাউফুর-রাহীম।
অর্থ: হে আমাদের রাব্ব! আমাদেরকে এবং ঈমানে অগ্রগামী আমাদের ভাইদেরকে ক্ষমা করুন এবং মু’মিনদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষ রাখবেননা। হে আমাদের রাব্ব! আপনিতো দয়ার্দ্র, পরম দয়ালু।