২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০১:৪০:২০ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীতে তাপদাহে ঝরে পড়ছে আমের গুটি
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৪-২০২২
রাজশাহীতে তাপদাহে ঝরে পড়ছে আমের গুটি রাজশাহীতে তাপদাহে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। ছবি-রাজশাহীর সময়


রাজশাহীতে প্রচন্ড তাপদাহে ও বৃষ্টির অভাবে ঝড়ে পড়ছে আমের গুটি। এ অবস্থায় ফলন বিপর্যয়ের পাশাপাশি আমের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন  রাজশাহী ও বাঘা অঞ্চলের আমচাষি, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। তবে হতাশ না হয়ে আমগাছের গোড়ায় পানি সেচ, নিয়মিত পরিচর্যা ও বালাইনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন ফল গবেষকরা।

জানা গেছে, চলতি আম মৌসুমের শুরুতে দুদফা বৃষ্টির কারণে এবং মুকুল আসার পর মেঘলা আবহাওয়ায় গাছে মুকুল জ¦লে অনেকটা নষ্ট হয়। আর এবছর ৬০-৬৫ ভাগ ফলনের আশা নিয়ে বুক বেঁধেছিলো রাজশাহী ও বাঘার আমচাষিরা। কিন্তু কিছুদিন ধরে প্রচন্ড তাপদাহ অব্যাহত থাকায় ও বৃষ্টি না হওয়ায় ঝরে পড়ছে আমের গুটি। যদিও কেউ কেউ রাতদিন সেচ ও স্প্রে করে চেষ্টা করছেন আমগুলোকে বাঁচানোর। কিন্তু অধিকাংশ চাষিই পূঁজি এবং পানির অভাবে সেচ দিতে পারছেন না। বৃষ্টির অপেক্ষায় তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে ।

বাঘার আমচাষি শাহানুর রহমান বাবু বলছেন, চলতি মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ায় এমনিতেই আমবাগানে মুকুল এসেছে, তারপর আবার মেঘলা আবহাওয়া ও কুয়াশায় মহা (ছত্রাকনাশক রোগ) লেগে অনেক মুকুল নষ্ট হয়ে যায়। আর গুটি আসার পর প্রচন্ড তাপদাহে এবং বৃষ্টির অভাবে প্রতিটি আমবাগানে বিপুল পরিমান আমের গুটি ঝরে পড়েছে। সামনের দিনগুলোতে আরও কয়েকদিন এ আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে আরও আমের গুটি ঝরে পড়ার আশংকা করছেন তারা। এ অবস্থায় চলতি মৌসুমে আমের ভবিষ্যৎ কি হবে? তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় এ অঞ্চলের আম চাষিরা।

রাজশাহী বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শফিউল্লাহ সুলতান জানান, চলতি মৌসুমে জেলার সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমির বাগানে ৯৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এবার মুকুল আসতে কিছুটা দেরি এবং প্রচন্ড তাপদাহ ও বৃষ্টির অভাবে আমের গুটি ঝরে পড়ার বিষয়ে গাছের গোড়ায় পানির সেচ এবং বালাই ব্যবস্থাপনার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে আমচাষীদের। তবে, বৈরী আবহাওয়ায় এবার ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ গাছে মুকুল এসেছে। আর এখন প্রচন্ড খরার হাত থেকে আম রক্ষার্থে গাছের গোড়ায় সেচ দিলেই হবে। শেষ পর্যন্ত প্রকৃতিক দূর্যোগ দেখা না দিলে ও আবাহওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলনের আশা এই কৃষি অসিফারের। 

রাজশাহীর সময়/এএইচ