২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:৩৩:৪১ অপরাহ্ন


রাজশাহীতে অর্ধেকে নেমেছে লেবু-শসা-কলা ও বেগুনের দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৪-২০২২
রাজশাহীতে অর্ধেকে নেমেছে লেবু-শসা-কলা ও বেগুনের দাম রাজশাহীতে অর্ধেকে নেমেছে লেবু-শসা-কলা ও বেগুনের দাম


প্রথম রমজানের আগের দিন থেকেই চড়া ছিল রাজশাহীর কাঁচাবাজারে শাক-সবজি সহ ইফতারে ব্যবহৃত লেবু, কলা,শসা বেগুনের দাম। তবে ইফতাওে ব্যবহৃত এসব নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা পণ্যের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে নেমেছে অর্ধেকে। 

সোমবার (১১ এপ্রিল) সকালের দিক এসব কাঁচা পণ্যের দাম সামান্য বেশি থাকলেও দুপুরের পর থেকে অর্ধেকে নেমে আসে লেবু, কলা, শসা ও বেগুনের দাম। এতে অনেকটায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। 

রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার মাষ্টারপাড়া, শিরোইল কাঁচা বাজার, শালবাগান ও লক্ষীপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শরবত তৈরির কাজে ব্যবহৃত ৩৫ থেকে ৪০ টাকা হালি লেবু দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। রোজার একদিন আগেও যে বেগুনের দাম ছিল ৮০ টাকা তা আজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। আবার যে সপ্রি কলা  মাস খানেক আগেও ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে আজ তা মিলছে মাত্র ২০ টাকায়। 

অন্যদিকে, রোজার শুরুর দিকে আকাশ ছোঁয়া দামে বিক্রি হচ্ছিল শসা। সেই শসার সপ্তাহের ব্যবধানে কমে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল আজ তা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩০ টাকায়। ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজির পেয়ারা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। 

নগরীর সাহেব বাজার থেকে বাজার করে ফিরছিলেন শিরোইল মাষ্টারপাড়ার বাসিন্দা মাওলানা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান। তিনি জানান, ‘রোজার শুরুতে ইফতারে ব্যবহৃত জিনিসপত্রের দামে ছিল আগুনের উত্তাপ। কেনার মতো ছিল না। ব্যবসায়ীরা যে যার ইচ্ছে মতো দামে শসা, কলা, লেবু ও বেগুনের দাম বাড়িয়ে বেঁচছিলেন। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে এসব জিনিসের দাম অনেকটায় আয়ত্ত্বের মধ্যে এসেছে। 

এদিকে নগরীর পাইকারি কাঁচা বাজারের মোকাম খ্যাত খড়খড়ি বাইপাস এলাকায় লেবু, কলা, শসা, বেগুন ও পেয়ার মিলছে আরও সস্তায়। আড়তে কিংবা চাষীরা ১০০টি লেবু বিক্রি করছেন ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়। বেগুন কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। পেয়ারা মিলছে ২৫ থেকে ২৮ টাকা কেজি এবং কলা বিক্রি হচ্ছে হালি প্রতি ১৫ থেকে ১৮ টাকায়। তবে সেখান থেকে হাত বদলের পরপরই শহরে এসে বাড়ছে দাম। 

রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. হাসান আল মারুফ বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই রাজশাহীর বাজার মনিটরিং করছি। যেনো কোনোভাবেই কোনো সিন্ডিকেট বাজার অস্থিতিশীল না করতে পারে। প্রতিটি দোকানেই মূল্য তালিকা টাঙ্গাতে বলা হয়েছে। তবে কাঁচাবাজারের ক্ষেত্রে মূল্য তালিকা প্রযোজ্য নয়। তারপরও আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছি যাতে বাজার মূল্যের চাইতে কেউ যেনো অতিরিক্ত কাঁচা শাক-সবজির দাম বেশি না নিয়ে ক্রেতাকে হয়রানি করে। 

ইফতারে ব্যবহৃত শসা, কলা, লেবু ও বেগুনের দাম কমার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুসারে আমরা কঠোরভাবে বাজার পরিদর্শন করছি। যার কারণে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব (শসা, কলা, লেবু ও বেগুন) কাঁচা পণ্যের মূল্য অনেকটা কমেছে। এ ধরনের পর্যবেক্ষণ ঈদের আগ পর্যন্ত চলতেই থাকবে। তবে ক্রেতাদের অনুরোধ থাকবে, কেউ কোথাও অন্যায়ভাবে বেশি দাম চাইলে আমাদের জানাবেন। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। 

রাজশাহীর সময়/এএইচ