২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১২:২৯:২৮ অপরাহ্ন


আ. লীগের চোখ তৃণমূল সংস্কারে, বিএনপি যাচ্ছে আন্দোলনে
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৪-২০২২
আ. লীগের চোখ তৃণমূল সংস্কারে, বিএনপি যাচ্ছে আন্দোলনে আ. লীগের চোখ তৃণমূল সংস্কারে, বিএনপি যাচ্ছে আন্দোলনে


ঘর গোছাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। জাতীয় নির্বাচনের আগে দলকে শক্তিশালী করতে তৃণমূলকে ঢেলে সাজাচ্ছে আওয়ামী লীগ। প্রস্তুতি চলছে ডিসেম্বরে জাতীয় কাউন্সিলের। অন্যদিকে বিএনপির লক্ষ্য আন্দোলন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবির চূড়ান্ত আন্দোলনের আগেই দলটির ৮২ সাংগঠনিক জেলা কমিটি পুর্নগঠনে চলছে তোড়জোড়।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘর গোছাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন, ওয়ার্ড থেকে শুরু করে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে চলছে নেতৃত্ব বাছাই। পাশাপাশি সদস্য নবায়ন এবং নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজও করছে দলটি।

এরই মধ্যে ৮ বিভাগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩৯টি জেলায় নতুন কমিটি পেয়েছে দল। ডিসেম্বরে জাতীয় কাউন্সিলের আগে তৃণমূলকে ঢেলে সাজাতে চায় আওয়ামী লীগ। দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, ভুল বোঝাবুঝি, নেতৃত্বের সংঘাত সবকিছু মিলিয়ে নির্বাচনের আগেই দলকে ঐক্যবদ্ধ করা দলটির অন্যতম লক্ষ্য।

আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সময় সংবাদকে বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে দলকে আমরা শক্তিশালী কাঠামোর ওপর ভিত্তি দেওয়ার জন্য তৃণমূলেও সম্মেলন করে যাচ্ছি। ঘর গোছানোর কাজে কোনো সমস্যা থাকলে সেগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের চেষ্টা করব।

দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে জনমুখী নেতৃত্ব তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা। সেখানে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে দলের সিনিয়র এবং ত্যাগী নেতাকর্মীদের।

এদিকে ক্ষমতাসীনদের পাশাপাশি বিএনপিও প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচনকে সামনে রেখে। তবে সেটি নির্বাচনের নয়, আন্দোলনের।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রেখে কোনো নির্বাচন করা যাবে না। আমরা বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। সামনে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে।  

এ সরকারের পতন ঘটলেই কেবল দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। তাদের মতে, এই সরকারের পতন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, জনগণের ভোটের অধিকারের লক্ষ্যে আন্দোলন করা হবে। এসব দাবিতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আরও বড় ধরনের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে কাজ চলছে বলেও জানান দলের নেতারা।

এছাড়া চূড়ান্ত আন্দোলনের আগে জুনের মধ্যেই ৮২টি সাংগঠনিক জেলার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি পুনর্গঠন শেষ করতে কাজ করছে দলটি। সময় টিভি।

রাজশাহীর সময় / এম আর