২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৪:১৮:০৫ পূর্বাহ্ন


ইমাম পরিচয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন ভয়ংকর খুনি মুফতি শফিকুর
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৪-২০২২
ইমাম পরিচয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন ভয়ংকর খুনি মুফতি শফিকুর ইমাম পরিচয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন ভয়ংকর খুনি মুফতি শফিকুর


মসজিদের ইমাম ও মাদরাসা শিক্ষকের পরিচয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন ভয়ংকর খুনি মুফতি শফিকুর রহমান। বদলে ফেলেছেন নিজের পরিচয়। এভাবে ১৯ বছর কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও নরসিংদী এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।

বলা হচ্ছে রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলা এবং ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি শফিকুরের কথা। অবশেষে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ভৈরবে র‌্যাবের জালে ধরা পড়েন এই আসামি।

র‌্যাবের দাবি, এক সময়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের সঙ্গে জড়িত থাকলেও বর্তমানে উগ্রবাদী ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে জনমনে বিদ্বেষ সৃষ্টি করতেন শফিকুর রহমান।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, পরিচয় লুকিয়ে থাকার সময়টাতে শফিকুর বিভিন্ন সময় উগ্রবাদ সম্মিলিত ওয়াজ মাহফিল বা বিভিন্ন কার্যক্রম করে আসছিলেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র‌্যাব জানায়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং রমনা বটমূলে বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছেন আসামি শফিকুর।

খন্দকার আল মঈন বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে একটি গোষ্ঠি সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ করতে চেয়েছিল বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করার একটি অপচেষ্টা ছিল বিভিন্ন সময়ের হামলাগুলোর মাধ্যমে। তো তার সঙ্গে কথা বলার সময় এই বিষয়টি বার বার উঠে এসেছে।  

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ উৎসবে বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৯ জন, আহত হন শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রাজশাহীর সময় / এম আর