২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০১:২০:৪৩ অপরাহ্ন


আগ্রাসী তাপপ্রবাহের পর রাজশাহীতে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৪-২০২২
আগ্রাসী তাপপ্রবাহের পর রাজশাহীতে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি আগ্রাসী তাপপ্রবাহের পর রাজশাহীতে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি


অবশেষে রাজশাহীতে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি।এতে হাফ ছেড়ে বাঁচল মানুষ ও কষ্টে থাকা পশু-পাখিরা।

টানা তাপপ্রবাহের পর বুধবার ভোররাতে এক পশলা বৃষ্টিতে মরা গাছগুলোও যেন ফিরে পেয়েছে প্রাণ। বৈশাখী খরতাপে জনজীবন যখন ওষ্ঠাগত; তখন বৃষ্টি যেন অন্যরকম প্রাণশক্তি হয়ে ধরা দিলো।

অব্যাহত তাপপ্রবাহে মানুষের জীবন যেন এতদিন যায় যায় করছিল। অগ্নিদহনে বিবর্ণ হয়ে উঠেছিল সবুজ রাজশাহী। আগ্রাসী তাপ আর গরম বাতাসে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছিল। পদ্মাপাড়ের বাতাস যেন অনুভূত হচ্ছিল আগুনের হলকার মত। এরপর টানা তাপদাহে বাইরে বের হলে চোখ-মুখ যেন পুড়ে যাচ্ছিল। এ সময় মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যায়। দুর্বিষহ গরম-খরা-অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হয় ক্ষেতের বোরো ধান। তীব্র গরমে ঝরে পড়ছিল আম ও লিচুর গুটি।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার বলছে- এর মধ্যে দিয়ে টানা ১৬ দিনের তাপপ্রবাহ কাটল। রাজশাহীর রুক্ষ প্রকৃতিতে তাপমাত্রার পারদ আবার নামলো ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।

জানতে চাইলে রাজশাহী পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, বুধবার রাজশাহীতে ১৭ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন , ১৫ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে তাপমাত্রা আবার কমতে শুরু করে। এর মধ্যে ১৬ এপ্রিল রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৭ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৮ এপ্রিলও ছিল একই তাপমাত্রা। এরপর ১৯ এপ্রিল রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

বুধবার (২০ এপ্রিল) রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ বৃষ্টি হওয়ায় টানা ১৬ দিন পর রাজশাহীতে চলমান তাপপ্রবাহ কাটল।

সাধারণত ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। এছাড়া দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলেই তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয় বলে উল্লেখ করেন রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণগারের এই আবহাওয়া কর্মকর্তা।

রাজশাহীর সময়/এএইচ