২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৬:৪১:১৯ পূর্বাহ্ন


সীতাকুন্ডে দাঊদ সম্রাট হত্যা ও ফেনী-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫টি ডাকাতি মামলার আসামি শিমুল গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৪-২০২২
সীতাকুন্ডে দাঊদ সম্রাট হত্যা ও ফেনী-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫টি ডাকাতি মামলার আসামি শিমুল গ্রেফতার সীতাকুন্ডে দাঊদ সম্রাট হত্যা ও ফেনী-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫টি ডাকাতি মামলার আসামি শিমুল গ্রেফতার


চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি দাঊদ সম্রাটকে হত্যা মামলার পলাতক আসামী ও ফেনি-চট্রগাম মহাসড়কে ৫টি ডাকাতি মামলার আসামী শিমুলকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭। 

রোববার (২৪ এপ্রিল) রাত ৪টায় র‌্যাব-৭, চট্রগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামী মোঃ নূর মোস্তফা শিমুল(৩১)কে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার মোঃ নূর মোস্তফা শিমুল চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানার পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের মৃত. আবুল মুনসুর প্রকাশ জন মিয়ার ছেলে। 

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭, সিনিঃ সহকারী পরিচালক(মিডিয়া) মোঃ নূরুল আবছার।

তিনি জানান, গত ৩১ ডিসেম¦র বিকাল পৌনে ৪টায় চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি দাঊদ সম্রাটকে কতিপয় দুস্কৃতিকারী হত্যার উদ্দেশ্যে চোরা এবং কিরিচ দিয়ে বুক, পেট এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় সম্রাটকে সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মৃত্যের মা জেবুন্নেসা বাদী হয়ে সীতাকুন্ড থানায় ১৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

হত্যা মামলার সাথে জড়িত এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরপর গত ১৫ এপ্রিল র‌্যাব-৭, এই মামলার আসামী মোঃ মামুন প্রকাশ ডাকাত মামুন (২২) ও মোঃ নুরুল হুদাকে (২৫) গ্রেফতার করে। এরপর গত ২৪ এপ্রিল ভোর ৪টায় আসামী মোঃ নূর মোস্তফা শিমুলকে(৩১) গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী স্বীকার করে, সে সীতাকুন্ড ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি দাঊদ সম্রাট  হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলো এবং চার্জশীটভুক্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী বলে স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীর স্বাকারোক্তী এবং সিডিএমএস পর্যালোচনা করে তার বিরুদ্ধে সীতাকুন্ড থানায় হত্যা ও ডাকাতিসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামী শিমুর আরও জানায়, ফেনী থেকে চট্টগ্রাম শহরের সিটি গেইট পর্যন্ত ফেনী-চট্রগ্রাম মহাসড়কে সংগঠিত ডাকাতি কার্যক্রমে সে অন্যতম মূলহোতা হিসেবে কাজ করেছে। সাম্প্রতিক সময়েও সে কয়েকটি ডাকাতির কাজ সংগঠিত করেছে। বেশীরভাগ সময়ে সে এই এলাকায় ডাকাতি কার্যক্রম সংঘটিত করে গা ঢাকা দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম শহরে এসে ট্রাক অথবা লরী চালায় এবং নির্দিষ্ট সময় পর ডাকাতি কার্যক্রমে পুনরায় নিজেকে জড়ায়।

গ্রেফতার আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানায় র‌্যাব-৭, এর মূখপাত্র।

রাজশাহীর সময় / জি আর