১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৯:৪০:২৯ অপরাহ্ন


দেশে মোটরসাইকেল বিক্রি বেড়েছে ২০ শতাংশ
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০১-২০২২
দেশে মোটরসাইকেল বিক্রি বেড়েছে ২০ শতাংশ দেশে মোটরসাইকেল বিক্রি বেড়েছে ২০ শতাংশ


করোনা মহামারির কারণে দেশের বাজারে মোটরসাইকেল খাতের যে মন্দাভাব তৈরি হয়েছিল তা কাটিয়ে উঠছে কোম্পানিগুলো। ২০২১ সালে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫ লাখ ৯০ হাজার মোটরসাইকেল, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি।

তবে এ খাতের কোম্পানিগুলো বলছে, করোনার কারণে মোটরসাইকেল ও যন্ত্রাংশ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। সরবরাহ ঠিক থাকলে বিক্রি বাড়ার হার আরও কিছুটা বেশি হতো।

দেশের মোটরসাইকেল উৎপাদন ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর নিজস্ব হিসাব মতে, ২০২০ সালের তুলনায় গতবছর প্রায় ১ লাখ বেশি মোটরসাইকেল বিক্রি হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ১১ শতাংশ কম হয়েছিল।

মোটরসাইকেল বিক্রির এই হিসাব সেই অর্থে বাজার জরিপ নয়। হিসাবটি কোম্পানিগুলো নিজেরা বাজারের প্রবণতা বোঝার জন্য তৈরি করে। বিক্রি বাড়ার হার জানতে চারটি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনটি কোম্পানি জানিয়েছে, বিক্রি বেড়েছে ২০ শতাংশ করে। একটি জানিয়েছে, ১৫ শতাংশের বেশি হবে না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ২১ শতাংশ বেশি। উল্লেখ্য, বিক্রি হওয়া মোটরসাইকেলের একটি বড় অংশ অনিবন্ধিত থাকে। অনেক ক্ষেত্রে পরে নিবন্ধন নেন ক্রেতারা।

মোটরসাইকেল বিক্রি বৃদ্ধির পেছনে কোম্পানিগুলো চারটি বড় কারণের কথা বলছে।

প্রথমত, ২০২০ সালে করোনার কারণে কিছুদিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও, গত বছর তা হয়নি।

দ্বিতীয়ত, অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি গতিশীল ছিল। কৃষি পণ্যের দাম ভালো পেয়েছেন কৃষকেরা।

তৃতীয়ত, করোনাকালে গণপরিবহন এড়াতে মানুষ ব্যক্তিগত বাহন হিসেবে মোটরসাইকেল বেছে নিয়েছে এবং

চতুর্থত, করোনাকালে কাজ হারানো অথবা কাজ না পাওয়া তরুণেরা শরিকি যাত্রা বা রাইড শেয়ারিং পেশায় নিযুক্ত হয়েছেন। কেউ কেউ পণ্য ও খাবার সরবরাহ পেশায় যোগ দিয়েছেন। তারাও মোটরসাইকেল কিনেছেন।

টিভিএস অটো বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিপ্লব কুমার রায় বলেন, মোটরসাইকেল খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে, এটা বলা যাবে না। বলা যেতে পারে, ঘুরে দাঁড়ানোর পথে রয়েছে। তিনি বলেন, ক্রেতারা মোটরসাইকেল কিনতে চান। তবে তারা আর্থিক চাপেও আছেন।

রাজশাহীর সময় / এফ কে