ঈদের বোনাসের দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ করেছেন কেমিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ওষুধ কারখানার শ্রমিকরা। শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরীর টিকাপাড়া এলাকায় শ্রমিকরা কর্মবিরতি রেখে বিক্ষাভ শুরু করে, এমন সময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

কর্মরত শ্রমিকরা জানান, কারখানায় প্রায় দুই শতাধিকের বেশি কর্মী কাজ করেন। এর মধ্যে ৬০-৬৫ জন শ্রমিক মাসিক বেতনের ভিত্তিতে রয়েছে। আর বাকি শ্রমিকদের কাজ করানো হয় দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে। শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হলেও এক সপ্তাহ ধরে তাঁদের বলা হয়েছে ঈদের আগেই বোনাস দেওয়া হবে। কিন্তু বোনাস দেওয়া নিয়ে গড়িমসি করছেন কর্তৃপক্ষ। কারখানার কর্মরত শ্রমিক লাবনী জানান, গত কয়েকদিন থেকে ঈদের বোনাস দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাজ করিয়ে নিচ্ছে। বোনাস দেওয়ার কথা বলে শুক্রবার ছুটির দিনেও আমাদের কাজে আসতে বলা হয়েছে কিন্তু আসার পর জানানো হয় ঈদের আগে বোনাস দেওয়া হবে না তাই আমরা কর্মবিরতি রেখেছি।

শ্রমিক আসিয়া জানান, শুধু ঈদের বোনাসই নয় প্রতি মাসে বেতন পেতেও আমাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এক মাসের বেতন পাই পরের মাসে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেমিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, এই কোম্পনির মালিক এমএ কালাম মারা গেছেন এখন কোম্পানির দায়িত্বে আছেন তার সন্তানরা শীর্ষ কর্মকর্তার মৃত্যুতে এবং করোনাকালীন সময় পার করায় আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে। তাই এমন সমস্যা হচ্ছে। তবে তা সমাধানের চেষ্টা চলছে আর কিছুক্ষনের মধ্যেই আমরা শ্রমিকদের বোনাস দেওয়া শুরু করবো।

এরপর বেলা ১ টার দিকে শ্রমিকদের বোনস প্রদান করেন কেমিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ওষুধ কারখানার মালিক।

নগরীর বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাজাহারুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরে আমাদের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়েছে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। বোনাস পরিশোধের আশ্বাস দেওয়ায় বিক্ষোভ স্থগিত করা হয় এবং যেকোন অপ্রিতীকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান ওসি। 

রাজশাহীর সময় / জি আর