২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০২:২৯:১৪ অপরাহ্ন


রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি নিয়ে ইউরোপের উভয় সংকট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৫-২০২২
রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি নিয়ে ইউরোপের উভয় সংকট রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি নিয়ে ইউরোপের উভয় সংকট


রাশিয়া থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে নতুন অনিশ্চয়তার মুখে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঐক্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে৷ কিন্তু অর্থনৈতিক স্বার্থে কিছু ক্ষেত্রে মস্কোর দাবি মেনে নেবার ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে৷

রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করতে পারে, এমন আশঙ্কা একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল না৷ ইউক্রেনে হামলা শুরু হবার পর থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলি রাশিয়ার গ্যাসের উপর নির্ভরতা কমাতে জোরালো তৎপরতা শুরু করেছে, যদিও সেই প্রক্রিয়া যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

এর মধ্যে মস্কোও আচমকা চলমান চুক্তির পরোয়া না করে একমাত্র রুবলের বিনিময়ে গ্যাস বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া সেই নতুন শর্ত মানছে না, এমন কারণ দেখিয়ে রাশিয়ার গাজপ্রম সংস্থা এই দুই দেশে গ্যাস সরবরাহ রাতারাতি বন্ধ করে দিয়েছে৷ ইউরোপের অন্যান্য দেশেরও একই দশা হতে পারে, এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ রাশিয়া ‘বৈরি' দেশগুলির উদ্দেশ্যে এমন হুমকিও দিয়েছে৷ পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার আওতায় বিদেশে রাশিয়ার মুদ্রা সম্পদ মস্কোর নাগালের বাইরে চলে যাওয়া বাধ্য হয়ে রুবলে লেনদেনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দাবি করেছেন৷

পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া রাশিয়ার গ্যাস থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও আপাতত জার্মানির মতো কিছু দেশ অন্যান্য পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের আশা করতে পারে৷ উল্লেখ্য, রাশিয়া এখনো ইউরোপে প্রায় ৪০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করে৷ তার বিনিময়ে দিনে ৪০ কোটি ইউরো হাতে পায় মস্কো৷ বেপরোয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বেচ্ছায় সেই আয় বন্ধ করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন পশ্চিমা বিশ্বের চলমান নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আরও ক্ষতি মেনে নিতে প্রস্তুত কিনা, সে বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে৷

এমন প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঐক্যবদ্ধভাবে জ্বালানি সংকট মোকাবিলার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ আগামী সোমবার ইইউ জ্বালানি মন্ত্রীরা এক জরুরি বৈঠকে বসছেন৷ ইউরোপীয় কমিশন মস্কোর বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ করেছে৷ তবে এমন সংকটের মুখে ইইউ কতটা অসহায় অবস্থায় পড়েছে, তাও স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷

ইইউ জ্বালানির দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনর কাডরি সিমসন বলেছেন, যে তিনি ইউরোপের গ্যাস আমদানিকারী কোম্পানিগুলিকে চুক্তির শর্ত মেনে রাশিয়াকে গ্যাসের দাম মেটানোর পরামর্শ দিয়েছেন৷ অর্থাৎ রুবলের বদলে ইউরো বা ডলারেই লেনদেন করতে হবে৷ নিষাধাজ্ঞার শর্তও অমান্য করলে চলবে না৷ তবে কঠিন পরিস্থিতিতে ঘুরপথে রুবলে দাম মেটানোর পথও খোলা রাখা হচ্ছে৷ ব্লুমবার্গ সংস্থার সূত্র অনুযায়ী দশটি ইউরোপীয় কোম্পানি ইতোমধ্যেই মস্কোর দাবি মেনে গাজপ্রম ব্যাংকে রুবল অ্যাকাউন্ট খুলেছে৷

রাজশাহীর সময় / জি আর