২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৫:৪০:৪০ অপরাহ্ন


ওমিক্রন নিয়ে ‘ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন’ চূড়ান্ত
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০১-২০২২
ওমিক্রন নিয়ে ‘ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন’ চূড়ান্ত ফাইল ফটো


দেশের সম্প্রতি ফের বেড়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বিশেষ করে ওমিক্রন ধরনটি বেশি সংক্রামক হওয়ায় এর জন্য একটি ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বুধবার বেলা ২টার দিকে এক ভার্চ্যুয়াল বুলেটিনে এসব কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।

এসময় তিনি বলেন, বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে, দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি ও বিএসএমএমইউয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার ডেলটা ধরনের পাশাপাশি অধিকতর সংক্রামক ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হচ্ছে। এই ওমিক্রনের কারণে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে। এর জন্য ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। সেটি চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই অন্যান্য স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠানকে এটি দেয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মুখপাত্র ওমিক্রনের ধরন প্রসঙ্গে বলেন, ওমিক্রনের অন্য উপসর্গ কী আছে, তা বের করতে কাজ চলছে। রোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সারা বিশ্বের করোনা রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বিশ্বে ৩৫ কোটি ২৮ লাখ মানুষ ইতিমধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৫৬ লাখ ছাড়িয়েছে।

বিগত সাত দিনে দেশে সামগ্রিকভাবে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ও শতকরা হিসাবে শনাক্তের হার একটু একটু করে বেড়েছে। ১৯ জানুয়ারি ৯ হাজার ৫০০ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং শনাক্তের হার ছিল ২৫ শতাংশের একটু বেশি। ২৫ জানুয়ারি রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৩৩ জন এবং শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এই সময়ে মোট রোগী ছিল ২১ হাজার ৬২৯ জন। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ইতিমধ্যেই তা ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোগী ছাড়িয়েছে। এত বেশিসংখ্যক তথা সর্বশেষ লাখের ওপরে রোগী ছিল গত বছরের আগস্টে ২ লাখ ২৩ হাজারের বেশি, জুলাই মাসে ৩ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি এবং সেপ্টেম্বরে ৫৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। তারপর এটি ক্রমাগত কমছিল।

অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ৬৯৭টি এবং ৪৯ হাজার ৪৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ওঠে ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ। ৮০৭টি পরীক্ষাগারে আরটিপিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রতি ১০০ জন শনাক্তের বিপরীতে সুস্থতার হার প্রায় ৯১ শতাংশ। মারা যাচ্ছেন ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। মোট মৃত্যুর মধ্যে ৬১ থেকে ৭০ বছর ও ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী বেশি।

সরবরাহ লাইনের মাধ্যমে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ চলছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ১২৯টি সরবরাহ লাইন আছে। পাশাপাশি ২৯ হাজারের বেশি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ২ হাজারের বেশি ক্যানোলা এবং ২ হাজার ৩০০–এর বেশি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছে। এর বাইরেও পর্যাপ্ত মজুত আছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গতকাল পর্যন্ত ৯ কোটি ৫৪ লাখের বেশি মানুষ প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫ কোটি ৫৭ লাখের বেশি। আর বুস্টার ডোজের টিকা পেয়েছেন ১২ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ।

রাজশাহীর সময় / এফ কে