১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৯:০৮:২৬ পূর্বাহ্ন


কক্সবাজারে চাঞ্চল্যকর মিন্টু মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোঃ জাকির উল্লাহ গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৫-২০২২
কক্সবাজারে চাঞ্চল্যকর মিন্টু মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোঃ জাকির উল্লাহ গ্রেফতার কক্সবাজারে চাঞ্চল্যকর মিন্টু মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোঃ জাকির উল্লাহ গ্রেফতার


কক্সবাজারে চাঞ্চল্যকর মিন্টু মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোঃ জাকির উল্লাহকে (৩২) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্রগ্রাম।

গতকাল শনিবার কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানাধীন বটতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার মোঃ জাকির উল্লাহ কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানার বটতলী জুমপাড়া এলাকার অলি আহম্মদের ছেলে।

রোববার দুৃপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ চট্রগ্রাম সিনিঃ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মোঃ নূরুল আবছার। 

তিনি জানান, (২৩ ডিসেম্বর ২০২০) মোঃ মিন্টু মিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় দেশীয় ধারালো ছুরি দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে ঘটনাস্থানেই তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। এ সময় খুনিরা নিহত মিন্টু মিয়ার একটি হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানায় একটি ৩০২/৩৪ ধারায় একটি হত্যা দায়ের করা হয়।

এই চাঞ্চল্যকর হত্যা জঘন্য কর্মকান্ডের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতার লক্ষ্যে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে।

এরপর র‌্যাব-৭, জানতে পারে, প্রধান আসামী মোঃ জাকির উল্লাহ কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানাধীন বটতলী এলাকায় অবস্থান করছে। এমন তথ্যের তথ্যের গতকাল শনিবার র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল সেখানে অভিযান পরিচালনা করে মোঃ কুখ্যাত খুনি জাকির উল্লাহকে গ্রেফতার করে।

এ সময় তার কামড়ে গোঁজা অবস্থায় ১টি ডেগার এবং তার দেয়া তথ্যমতে অন্য একটি স্থানে তল্লাশী করে আরও ১টি ডেগার উদ্ধার করা হয়। 

গ্রেফতার খুনি মোঃ জাকির উল্লাহ স্বীকার করে যে, জঘন্য হত্যা কান্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ও অনত্যম পরিকল্পণাকারী ছিলো।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, মোঃ জাকির উল্লাহ টৈটং এলাকায় একজন কুখ্যাত অপরাধী হিসেবে পরিচতি। 

সে এই হত্যাকান্ডের পর তার নিজ এলাকা টৈটং থেকে নিখোঁজ হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস শুরু করে। 

গত দেড় বছর ধরে সে ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করে অবস্থান করছিল। এই হত্যা কান্ড ছাড়াও তার নামে একাধিক ধর্ষণ মামলার অভিযোগ রয়েছে।

র‌্যাব কর্তৃক তাকে গ্রেফতারের পর ভুক্তভোগী দুইজন নারী তার এরুপ অপকর্মের কথা র‌্যাবের কাছে তুলে ধরে। এছাড়াও সে র‌্যাবের হাতের গ্রেফতার হওয়ার একদিন আগে টৈটং বাজারের একটি দোকান থেকে জোরপূর্বকভাবে ১২টি কংক্রিটের পিলার লুট করে নিয়ে যায়। 

এই কুখ্যাত খুনী এবং অপরাধীকে গ্রেফতার করায় টৈটং এলাকার জনসাধারণ ও টৈটং বাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা র‌্যাবের প্রতি গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন।

গ্রেফতার খুনির বিরুদ্দে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রোববার সকালে তাকে সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

রাজশাহীর সময় / এম আর