১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:১৫:৫৫ অপরাহ্ন


রাজশাহী মহানগরীতে ফাঁকা বাড়িতে কিশোরীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৫-২০২২
রাজশাহী মহানগরীতে ফাঁকা বাড়িতে কিশোরীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ রাজশাহী মহানগরীতে ফাঁকা বাড়িতে কিশোরীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ


রাজশাহী মহানগরীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে এক কিশোরীকে (১৫) জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে মানিক (৩০) নামের এক ধর্ষক। সে স্থানীয় একটি স্কুলের ৮ম শ্রেণীরর ছাত্রী।

শনিবার (৭ মে) সকাল ৯ার দিকে নগরীর চন্দ্রিমা থানার মেহেরচন্ডি (উত্তর পাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় শনিবার বিকেল ৩টায় কিশোরীর মা সাধিনা বাদি হয়ে ধর্ষক মানিকের (৩০) বিরুদ্ধে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

ধর্ষক মানিক ওই এলাকার লিটনের মেয়ে জামাই। তার বাড়ি নাটোর জেলার লালপুরে। তার পিতার নাম হান্নান।

ধর্ষিতা কিশোরী জানায়, গত ১বছর আগে ধর্ষক মানিক কিশোরীর পিছু নেয়। সে বিভিন্ন সময় স্কুলে যাওয়ার পথে এবং পাড়ায় কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। কিশোরী তার প্রস্তাব বারবারই প্রত্যাক্ষান করে আসছিলো। এরপর কিশোরীকে ধর্ষক মানিক বলে তুমি আমাকে ভালো না বাসলে আমি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করবো। তার এমন ছলনাময়ি কথায় কিশোরী তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়। তারা একে অপরের সাথে কথাবার্তাও বলে। কিন্তু কিশোরী জানতো না তার কু-মতলবের কথা।

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মানিক কথা বলার নাম করে প্রতিবেশী জনৈক শাওনের বাড়িতে কিশোরীকে ডাকে। কিশোরী ওই বাড়িতে গেলে ঘরে ঢুকিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর জোর পূর্বক কিশোরী ধর্ষন করে মানিক। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিলোনা। পরে বাড়িতে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে কিশোরী। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে তার মায়ের সন্দেহ্ হয়। তাকে প্রশ্ন করতেই কিশোরী সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। এরপর কিশোরীকে নিয়ে তার মা ও তার আত্নীয়স্বজনরা চন্দ্রিমা থানায়  গিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

জানতে চাইলে চন্দ্রিমা থানা ইন্সপেক্টর (ওসি তদন্ত) মো: মইনুল বাশার জানান, কিশোরীকে ধর্ষনের ঘটনায় শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কিশোরীর মা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী ধর্ষনের কথা স্বিকার করেছে। পরে কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের (ওসিসি) ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। 

আসামী মানিককে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি তদন্ত।  

রাজশাহীর সময় / জি আর