২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১২:১৩:০৭ পূর্বাহ্ন


ঠান্ডা মাথার নিষ্ঠুর খুনি ছিলেন জিয়াউর রহমান- রাসিক মেয়র
আল্-মারুফ, রাবি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৫-২০২২
ঠান্ডা মাথার নিষ্ঠুর খুনি ছিলেন জিয়াউর রহমান- রাসিক মেয়র ঠান্ডা মাথার নিষ্ঠুর খুনি ছিলেন জিয়াউর রহমান- রাসিক মেয়র


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন।

দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ মে) সকাল ১০টায় একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়।শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে বেলা ১১টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে মুখ্য আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ. এইচ. এম. খায়রুজ্জামান লিটন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বাংলাদেশকে উগ্রমৌলবাদী রাষ্ট্র ও আবার পাকিস্তানের একটি অংশে পরিণত করার এবং মৌলবাদী ভাবধারায় ফিরিয়ে আনতে যত রকম চক্রান্ত সবকিছু করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি ছিলেন মৌলবাদীদের গুরু। জিয়াউর রহমান অত্যন্ত ভয়ংকর একজন মানুষ এবং ঠান্ডা মাথার নিষ্ঠুর খুনি ছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে সকল সাম্প্রদায়িক চক্রান্তের মদদ দাতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনী খন্দকার মোস্তাক সহ আরো যারা ছিল তাদের দেশ থেকে পালাতেও সাহায্য করেন তিনি। যে বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে এতো ভালোবাসতেন, সেই বঙ্গবন্ধুকে খুন করে খন্দকার মোস্তাক মীর জাফরের কাজ করেছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর বারবার হামলা করেও তাকে কিছুই করতে পারেনি। তিনি মৃত্যুকে ভয় করেন না। গ্রেনেড হামলার সময় ১৭ জন মারা গেলেও তিনি সেখানে ট্রাকের উপরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এটা আমার সৌভাগ্য যে, ঐদিন আমি প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী তার কর্মীদেরকে কতটা ভালোবাসে তা আমি ঐদিন বুঝেছিলাম। 

মেয়র লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের এই দিনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন এবং তৎকালীন ভঙ্গুর  আওয়ামীলীগের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করেন। তিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অন্যায় করে কেউ পার পাবে না। বর্তমানে তিনিই বাংলাদেশের উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হতে পারে না। যারা বলে তারা পাগল ছাড়া আর কিছুই না। 

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আল্লাহ উনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, কারণ উনার হাত দিয়ে বাঙালি জাতির ভাগ্যের উন্নতি ঘটবে। তিনি ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, শুধু স্লোগান দিলেই হবে না। শেখ হাসিনা সম্পর্কে জানতে হবে। মানুষের মন জয় করতে হবে। বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না। কিন্তু ভয় হয় আফগানস্থানের কাছাকাছি না চলে যাই আমরা। 

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম, ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর এবং প্রক্টরিয়াল বডির  অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।