২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০২:১৫:১১ অপরাহ্ন


সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের নামে বিনামূল্যে ব্যবহারের অনুমোদন নিয়ে, প্রতিদিন ৫০ লক্ষ টাকার বালু বিক্রির অভিযোগ !
সেলিম মোশেদ রানা (পাবনা প্রতিনিধি)
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৫-২০২২
সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের নামে বিনামূল্যে ব্যবহারের অনুমোদন নিয়ে, প্রতিদিন ৫০ লক্ষ টাকার বালু বিক্রির অভিযোগ ! সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের নামে বিনামূল্যে ব্যবহারের অনুমোদন নিয়ে, প্রতিদিন ৫০ লক্ষ টাকার বালু বিক্রির অভিযোগ !


পাবনা সুজানগর উপজেলা মাননীয় সংসদ সদস্য আহম্মেদ ফিরোজ কবির পাবনা-২ সুজানগর বেড়া আধা সরকারি (ডিও) পত্রের পেক্ষিতে মোংলা হতে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশি পযর্ন্ত নৌ-রুটের নাব্যতা উন্নয়ন” শীষক প্রকল্পের আওতাধীন নৌপথের সেগমেন্ট-০৬ এর উদায়পুর এবং সেগমেন্ট-০৮ এর রায়পুর-সাতবাড়িয়া এলকার ডাইক হতে ড্রেজিংকৃত মাটি/বালু জনস্বার্থে স্কুল-কলেজ,মসজিদ-মাদ্রাসা,এতিমখানা ও কবরস্থান সহ সরকারি উন্নয়নমূলক কাজে বিনামূল্যে কিছু বালি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন নিয়েছে। অথচ আইন শৃংখলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে প্রতিদিনে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের বালি উত্তোলন করছে বালু দস্যুরা। এর ফলে অনেক জায়গায় বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। অপর দিকে উঠতি বাদামসহ আবাদী ফসলের ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা জানায়, আহম্মেদ ফিরোজ কবির এমপি সাহেব সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের জন্য অনুমোদন এনে কিছু বালু দস্যুর হাতে দ্বায়িত্বে দিলে তারা সর্তসাপেক্ষ ভেঙ্গে জনস্বার্থে ক্ষতি হয় এমন কাজ করে বালু উত্তলন করে বিক্রি করছে।

এ দিকে স্থানীয় মেম্বার সহ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা আক্ষেপ করে বলেন আমাদের এমপি সাহেব আমাদের জনগণের কথা না ভেবে,কিছু অসাধু ব্যক্তির পেট মুটা করছে।

 বালু উত্তলনকারীরা ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে নারাজ, তবে তারা বলেন নিয়ম নীতি মেনেই বালি উত্তোলন করছি। এ সময় বালি উত্তোলনকারীরা বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ স্বাক্ষরিত একটি অনুমতিপত্র দেখান এবং যার অনুলিপি প্রধান প্রকৌশলী বিআইডবিøউটিএ ঢাকা, পাবনা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, সদর থানা, সুজানগর থানা ও নৌ-পুলিশ দপ্তরে প্রদান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ স্বাক্ষরিত একটি অনুমতিপত্রে দেখা যায় বাড়ি ঘর, আবাদি,কৃষি জমির নিকট থেকে বালি উত্তোলন করা যাবে না। ফসলের ক্ষতি করা যাবে না। এবং মাটি/বালি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার বা ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রয় করা যাবে না।

সুজানগরের ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল সরকারের দ্বায়িত্বে থাকা কর্মচারীর কাছে প্রত্যাশা করেন, সঠিক তদন্ত করে  বালু দস্যুর হাত থেকে পদ্মার পারের শত বসতবাড়ি এবং ক্ষতিগোস্ত কৃষকের জমি রক্ষা করবে এমন প্রত্যাশার অপেক্ষায় তারা।