২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:১৫:৫৯ অপরাহ্ন


জমি নিয়ে বিরোধে বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যা
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৫-২০২২
জমি নিয়ে বিরোধে বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যা নোয়াখালীতে জমি নিয়ে বিরোধে বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যা


নোয়াখালীর কবিরহাটে পৈতৃক সম্পত্তির ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে বড় ভাই দেলোয়ার হোসেনকে (৪৫) মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন ছোট ভাই মো. আব্দুল হাই মাস্টার (৪৩)। এ ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী সাজেদা আক্তার (৪০) বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় একটি মামলা করেন।

রোববার (২৯ মে) রাজধানীর জিগাতলা থেকে মো. আব্দুল হাই মাস্টারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি জানায়, গত ২১ মে বিকেলে দিকে নোয়াখালীর কবিরহাট থানার নবাবপুর এলাকায় পৈতৃক সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে দেলোয়ার ও মো. আব্দুল হাই মাস্টারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধ একপর্যায়ে ঝগড়ার রূপ নিলে মো. আব্দুল হাই মাস্টার তার বড় ভাই দেলোয়ার হোসেনকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুত্বর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দেলোয়ার হোসেন।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় দেলোয়ার হোসেনকে নোয়াখালীর মাইজদী সদরের গুডহিল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় পাঠান। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনতে দেলোয়ার হোসেনকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলার আগ মুহূর্তে তিনি মারা যান।

সিআইডি আরও জানায়, ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হওয়ার পর বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর থেকেই এ বিষয়ে সিআইডি নজরদারি করছিল। পরে গত ২২ মে ভিকটিমের স্ত্রী সাজেদা আক্তার বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় মো. আব্দুল হাই মাস্টার ও তার স্ত্রী নিলুফা ইয়াছমিন শিউলীকে (৩৮)। মামলার পর এ বিষয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে সিআইডি। ছায়াতদন্তের এক পর্যায়ের মামলার প্রধান আসামি মো. আব্দুল হাই মাস্টারকে ডিএমপির হাজারীবাগ থানাধীন ঝিগাতলা থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মো. আব্দুল হাই সিআইডির কাছে নিজের বড় ভাইকে খুনের কথা স্বীকার করেছে।

সোমবার (৩০ মে) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মুক্তা ধর বলেন, ভিকটিম ও অভিযুক্ত মো. আব্দুল হাই মাস্টারসহ তারা পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোন। সবাই বিবাহিত। ভাইয়েরা একই বাড়িতে বসবাস করলেও আলাদা আলাদা ঘরে তারা থাকেন। আব্দুল হাই মাস্টার ভাই ও বোনদের মধ্যে ৪০ শতাংশ বেশি পৈতৃক সম্পত্তি ভোগ করছিলেন। এ নিয়ে তার বড় ভাই দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সর্বশেষ গত ২১ মে জমি ভাগাভাগি নিয়ে হাই মাস্টার ও দেলোয়ারের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে হাই মাস্টার ঘর থেকে লাঠি এনে তার বড় ভাইয়ের মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে দেলোয়ার গুরুত্বর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ডাক-চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা আসতে থাকলে হাই মাস্টার পালিয়ে যান।

তিনি বলেন, গুরুতর জখম দেলোয়ার হোসেনকে নোয়াখালীর মাইজদী সদরের গুডহিল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করে। ঢাকায় আনার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে তোলার আগেই তিনি মারা যান।

এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান বলেও তিনি জানান।

রাজশাহীর সময়/এইচ