২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:১৭:৪৯ অপরাহ্ন


কাঁচা শশা খেলে মিলবে এই ১২টি উপকার
ফারহানা জেরিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৬-২০২২
কাঁচা শশা খেলে মিলবে এই ১২টি উপকার ফাইল ফটো


শরীরকে চাঙ্গা রাখতে যে নিয়মিত শশা খাওয়া উচিত, সে সম্পর্কে না হয় কোনও সন্দেহ নেই! কিন্তু প্রশ্ন হল এই প্রাকৃতিক উপাদানটি পুষ্টির ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি শরীরের আর কী কী উপকার লেগে?

হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, হার্টকে চাঙ্গা রাখতে বাস্তবিকই এই প্রাকৃতিক উপাদানটি কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে শশায় উপস্থিত লেরিসিরেসিনোল, শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে হার্টের কোনও ধনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে: পরিবারে কি এই মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে? তাহলে রোজের ডায়েটে শশাকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না যেন! আসলে এতে উপস্থিত পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম, শরীরে প্রবেশ করার পর লবণের প্রভাবকে কমাতে শুরু করে, যে কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না।

খনিজের চাহিদা মেটে: খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই ত্বকের পরিচর্যায় শশাকে কাজে লাগিয়ে থাকেন। কেন এমনটা করেন, জানেন? আসলে শশার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম,পটাসিয়াম এবং সিলিকন। এই সবকটি খনিজ শরীরের উন্নতির পাশাপাশি ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যদি অল্প দিনেই তরতাজা ত্বক পেতে চান, তাহলে আজ থেকেই কাজে লাগানো শুরু করতে পারেন শশাকে।

দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে: দেহের তাপামাত্রা স্বাভাবিক রাখতে শাসা খাওয়াটা জরুরি। কারণ শশা দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে সানস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ত্বক পুড়ে গেলেও শশা লাগাতে পারেন। কারণ পোড়া ভাব কমাতে শশা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ কমে: প্রকৃতির ডাক মানেই কি যন্ত্রণার অনুভূতি? তাহলে আজ থেকেই শশা খাওয়া শুরু করা উচিত। কারণ এমন ধরনের কষ্ট কমতে বাস্তবিকই শশার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই সবজিটির ভিতরে উপস্থিত ফাইবার, শরীরের ভিতরে বর্জ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে: একেবারে ঠিক শুনেছেন ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাস্তবিকই এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে শশা খাওয়া মাত্র শরীরের ভিতরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস সম্পর্কিত অন্যান্য সমস্যা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ক্যানসারের মতো রোগ দূরে থাকে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, শশাতে এমন কিছু উপাদান আছে, যা ক্যানসার রোগকে প্রতিরোধ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।

শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যায়: শশার শরীরে উপস্থিত বিপুল পরিমাণ জল দেহের ভিতরে প্রবেশ করা মাত্র ইতি উতি জমে থাকা টক্সিক উপাদনকে ধুয়ে মুছে বার করে দেয়। ফলে শরীরে বিষের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে কোনও ধরনের রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে।

শরীরের ভিতরে জলর অভাব দূর হয়: দেহের ভিতরে জলর মাত্রা স্বাভাবিক থাকাটা একান্ত প্রয়োজন। না হলে শরীর শুকিয়ে গিয়ে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই তো প্রতিদিন শশা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। তাদের মতে শশার শরীরে এত মাত্রায় জল আছে, প্রায় ৯৬ শতাংশ, যে খুব সহজেই জলর ঘাটতি দূর করে ডিহাইড্রেশন হওয়ার আশঙ্কা কমানো সম্ভব।

ভিটামিনের ঘাটতি দূর হয়: শরীরকে সচল রাখতে ভিটামিনের প্রয়োজন পরে। সেই ভিটামিনের যোগান ঠিক রাখতে শাসা খাওয়া মাস্ট! কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি এবং এ থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি এনার্জির ঘাটতি দূর করতে এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য় বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি দূর হয়: ৩০০ গ্রাম শশার প্রায় ১১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২ গ্রাম প্রোটিন, ২ গ্রাম ফাইবার, দিনের চাহিদার প্রায় ১৪ শতাংশ ভিটামিন সি এবং ৬২ শতাংশ ভিটামিন কে থাকে। সেই সঙ্গে থাকে দিনের চাহিদার ১০ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম, ১৩ শতাংশ পটাশিয়াম এবং ১২ শতাংশ মেঙ্গানিজ। এই সবকটি উপাদানই আমাদের শরীরের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমনিকা পালন করে থাকে। তাই তো নিয়মিত পরিমাণ মতো শশা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

ওজন কমে চোখে পরার মতো: অতিরিক্ত ওজনের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে সকাল-বিকাল শশা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ শশাতে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান শরীরে মজুত অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

রাজশাহীর সময়/জেড